পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় আমদানি নীতি পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেফ্রিজারেটর ম্যানুফ্যাকচারাস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিআরএমইএ)। পাশাপাশি দেশীয় শিল্পের বিকাশে বিদ্যমান নানান বাধা দূরীকরণে এএসআরও জারীর আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে সরকারি কেনাকাটায় দেশীয় উৎপাদনকারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার আহŸান জানিয়েছে বিআরএমইএ। যৌক্তিক এ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা। শিল্প সচিব জানিয়েছেন ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে বিআরএমইএ। অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব, ইআরডি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও মহাপরিচালকদের।
বিআরএমইএ সভাপতি স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও দেশীয় উদ্যেক্তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ এখন এয়ারকন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার, কম্প্রেসর, টেলিভিশন, এলিভেটর বা লিফট, সুইচ-সকেট, ফ্যান, এলইডি লাইট বাল্ব, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার, হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও দামে সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব এসব পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে। এমন অবস্থায় কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে উচ্চমূল্যে এসব পণ্য আমদানি নিরর্থক ও অপচয় মাত্র। সেই সঙ্গে ওইমতো আমদানি দেশীয় শিল্প বিকাশ ও স্বার্থের পরিপন্থি। তাই দেশীয় শিল্প বিকাশ ও কর্মসংস্থানে আমদানি নীতি পরিবর্তন সময়ের দাবি।
বিআরএমইএ’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশীয় উৎপাদনকারীদের ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের মান নিয়ন্ত্রণ সনদ বাধ্যতামূলক। বিদেশে কোনো পণ্য রপ্তানি করতে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের মান নিয়ন্ত্রণ সনদ নেয়াও বাধ্যতামূলক। রয়েছে বিপুল শুল্ক বাধা। অথচ বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বিএসটিআইয়ের মান নিয়ন্ত্রণ সনদের বালাই নেই। যে যেভাবে পারছে আমদানি করছে। পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রেই আমদানিতে নামমাত্র শুল্ক থাকায় নি¤œমানের পণ্যে দেশ সয়লাব হচ্ছে। এতে বিপুল অর্থের অপচয় ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমদানি পর্যায়ে বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্যের ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের মান নিয়ন্ত্রণ সনদ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে বিআরএমইএ। এদিকে, সরকারি সংস্থার অভ্যন্তরীণ কেনাকাটায় উপেক্ষিত হচ্ছে দেশীয় উৎপাদকদের তৈরি পণ্য। প্রায় সব সরকারি দরপত্রে বেশি দামের আমদানিকৃত পণ্যের ব্যান্ড বা দেশের নাম সরাসরি উল্লেখ থাকে। ফলে দেশীয় ব্র্যান্ড বা উৎপাদনকারীরা কম মূল্য প্রস্তাব করেও কৌশলে বাদ পড়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।