পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হজ ফ্লাইট বাতিলে দু’কর্মকর্তা দায়ী : নতুন কোটা দ্রুত বণ্টনের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : হজ ফ্লাইট বাতিলের ঘটনাকে দায়ী করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল জলিল ও পরিচালক হজ ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছেন হাব নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় ১৪শ’ হজ এজেন্সি ও হজযাত্রীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন হাব নেতৃবৃন্দ। ধর্ম সচিব ও পরিচালক হজ-এর চরম উদাসীনতা ও গাফিলতির দরুণ হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার থেকে প্রাপ্ত ৪৮০০ হজযাত্রী কোটার বিষয়ে ধীরে চলা নীতির কারণে সউদী থেকে প্রাপ্ত নতুন ১০ হাজার কোটা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। হজ যাত্রীদের সিটি চেক-ইন-এর নামে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুল জলিল সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হজযাত্রীদের ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে হাব নেতৃবৃন্দ এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাব সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাবের সহ-সভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার, মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ, হাবের সাবেক মহাসচিব আলহাজ এমএ রশিদ শাহ স¤্রাট, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কবির খান জামান, সাবেক সহ-সভাপতি ও ইসি সদস্য আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, খাদেমুল হুজ্জাজ আলহাজ তাজুল ইসলাম দারোগা, যুগ্ম মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন কামাল, অর্থসচিব ফজলুল ওয়াহাব মামুন, মাওলানা মোঃ হানজালা, মিজানুর রহমান ভূইয়া, খাদেম দুলাল, সায়েম মোহাম্মদ হাসান, হাফেজ নুর মোহাম্মদ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পরিচালক হজ ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের স্বেচ্ছাচারিতা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণেই হজ ফ্লাইট বিপর্যয় হচ্ছে। আমলাতান্ত্রিক চক্রান্তের কারণে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন না করার কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ম সচিব ও পরিচালক হজ অপসারণ করতে হবে। গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করে ফ্লাইট বিপর্যয় রোধ করতে হবে, ৪৮০০ কোটার হজ যাত্রীদের মুয়াল্লেম ফি’র টাকা আইবিএএন-এর মাধ্যমে দ্রুত সউদী আরবে পাঠাতে হবে, রাজকীয় সউদী সরকারের দেয়া ১০ হাজার কোটা অনতিবিলম্বে এনে অপেক্ষমাণ হজ যাত্রীদের পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ফিরতি হাজীদের সিটি চেক-ইন-এর ৫০ মার্কিন ডলার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট একাউন্টে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বলেন, হজ নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে ধর্ম সচিব কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চান তা জনগণ জানতে চায়। ধর্ম সচিব ও পরিচালক হজ-এর স্বেচ্ছাচারিতা একগুঁয়েমির দরুন সউদী আরবে ১৪৩টি এজেন্সি’র মালিক প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়ার কাজ সম্পন্ন করে দেশে আসতে পারছে না। উল্লেখিত দু’জন কর্মকর্তাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় আমরা হাজীদের স্বার্থে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। তাদের স্বেচ্ছাচারিতার দরুণ প্রায় ৪/৫ হাজার হজযাত্রীর হজে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। হাব মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, পরিচালক হজ আবু সালেহ দিনের বেলায় অফিস করেন না। রাত ১২টার পরে অফিস করেন। গভীর রাতে হজ অফিসের অসাধু কর্মচারীদের মাধ্যমে ভুয়া চিকিৎসকের সার্টিফিকেট দেখিয়ে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে পরিচালক হজ রিপ্লেসমেন্ট দিচ্ছে। তিনি অনতিবিলম্বে ধর্মসচিব ও পরিচালক হজকে অপসারণের জোর দাবি জানান। অন্যথায় হাজীদের স্বার্থে রাজপথে নামার হুমকি দেন। এক প্রশ্নের জবাবে হাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় হজ ফ্লাইট নিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।