চট্টগ্রাম ব্যুরো : লঘুচাপের বর্ধিতাংশ (ট্রাফ) এবং একটি লঘুচাপের সক্রিয় প্রভাবে আবহাওয়া আবারও এলোমেলো হয়ে উঠেছে। সাগর ফের উত্তাল রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ ও উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার কারণে গতকাল (শনিবার) থেকে পুনরায় সতর্ক সংকেত দেখানো হচ্ছে।
গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় জানা গেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং স্থানীয় সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ (রোববার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে, উত্তর-পূর্ব মিয়ানমার ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব ভারতে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব মধ্যপ্রদেশ এলাকায় অবস্থানরত স্থল নি¤œচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বা বলয় ভারতের রাজস্থান, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরো জানা গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।