পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহ জেলায় প্রথমবারের মতো আইপিএম (সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা) প্রকল্পের আওতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের মডেল প্রকল্প হিসাবে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ শুরু হয়েছে। সবজি চাষের জন্য খ্যাত ত্রিশালের রামপুর ইউনিয়নকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে ৫শ’ কৃষককে প্রশিক্ষিত করে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যাবতীয় প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহার করে কৃষকরা পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ সবজি ফসল উৎপাদনে সাফল্যের মুখ দেখছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মডেল প্রকল্প হিসাবে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ প্রকল্পে সারাদেশে ১০টি ইউনিয়কে মডেল ইউনিয়ন করা হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নের আওতায় এনে ২৫ জন কৃষকের একটি গ্রুপ করে ২০টি গ্রুপে ৫শ’ কৃষক একশ’ একর জমিতে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির আবাদের জন্য প্রথমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে কৃষকদের যাবতীয় উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করছে এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা হবে। রবি ও গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রতি একর জমিতে ১০ টন সবজি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে পাশাপাশি বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আইপিএম পদ্বতিতে ফেরুমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, নেট হাউজ পদ্বতি ব্যবহার করে ফুল কপি, বাধা কপি, টমেটো, বেগুন, শিম, কুমড়া, লাউ, জিংঙ্গা, চিচিংঙ্গা বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন শুরু করেছে কৃষকরা।
বীররামপুর চরপাড়া এলাকার কৃষক আতাউর রহমান বলেন, আমরা এই এলাকায় অনেক আগে থেকেই সবজি চাষ করে আসছি। রামপুরের সবজি ত্রিশাল তথা সারাদেশেই বিখ্যাত। আগে আমরা বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করে সবজি চাষ করতাম। এখন কৃষি অফিস থেকে আমাদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমবারের মতো বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ করছি। এ জন্য সরকারিভাবে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য আমাদেরকে কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে সরবরাহ করছে।
বীররামপুর উজানপাড়া এলাকার কৃষক আবুল কালাম জানান আমরা বিষমুক্ত ও নিরাপদ সবজি চাষ করতে পেরে আনন্দিত এবং দেশবাসীকে বিষমুক্ত সবজি সরবরাহ করতে পারবো বলে আশাবাদী। স্থানীয় কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, সবজি চাষের জন্য রামপুর এলাকার মাটি খুবই উর্বর। আমাদের এ অঞ্চলের সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বর্তমানে যেভাবে সবজি চাষ হচ্ছে এতে করে দেশের বাইরেও আমাদের বিষমুক্ত সবজি রফতানি করা সম্ভব।
রামপুর ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল বারেক জানান, বিষমুক্ত ও নিরাপদ স্বাস্থ্য সম্মত সবজি উৎপাদনের উদ্যোগ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। কৃষকরা উৎসাহ ও আনন্দের সাথে সবজি চাষ করছে।
কাল পড়ুন : বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষাবাদে পরির্তনের হাওয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।