পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম হারুন অর রশিদ ওরফে সীমান্ত। রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়া, মিরপুর এলাকা শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিম। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে অশ্লীল ছবি, অশ্লীল ভিডিও, ইলেকট্রিক ডিভাইস এবং বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়েছে।
সহকারি পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ বলেন, ভিকটিম রাজধানীর উত্তরায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশান ডিজাইনে অনার্সে অধ্যয়নরত ছিল। অধ্যয়নকালে তার সহপাঠী সীমান্তের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। আর সেই পরিচয়ে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২০১২ সনের ৩০ জুলাই ভিকটিমকে সীমান্ত মোহাম্মদপুরে তার নিজ বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমের মতের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে অশ্লীল ছবি তোলে এবং তার কাছ থেকে বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে নেয়। এর পরে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ের কাগজ পত্র তৈরী করে সীমান্ত। পরে ওই শিক্ষার্থী ভিকটিম নিজের সম্মান ক্ষুন্ন ও লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে।
এরপর গত ২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নোটারী পাবলিক সদর, চট্রগ্রাম হতে হলফ নামার মাধ্যমে হারুন অর রশিদ ওরফে সীমান্তকে তালাক দেন। তালাক দেয়ার পর সীমান্ত ভিকটিমের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের মোবাইলে সীমান্তের সাথে ভিকটিমের বিভিন্ন অশ্লীল ছবি প্রেরণ করে। এছাড়াও সীমান্ত ভিকটিমের নিকট বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করতে থাকে এবং বিভিন্ন অশ্লীল ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে তা প্রচার করতে থাকে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভ্ক্তুভোগির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়েল করা হয়।
মামলা তদন্তভার ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কাছে হস্তান্তর হলে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান সনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।