পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে ভারত সরাসরি জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লেবার পার্টির উদ্যোগে চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকার যেহেতু নির্বাচিত নয়, এজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ে পরোয়া করে না। তারা কথা বলেন এক আর কাজে করেন আরেক। এই পুঁজিতন্ত্রের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতীয় চক্রান্ত। তিনি বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে ভারত সরাসরি জড়িত। ভারতে গো মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হয়, আর আমাদের সরকার ঘাস চাষ শিখতে বিদেশে লোক পাঠায়। কারণ তাদের প্রভু ভারত। আমাদের একটাই কাজ, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলা বন্ধ করে দিতে পারে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে ভরে দিতে পারে। কিন্তু যারা জিনিসের দাম বাড়ায় তাদের কিছু করার ক্ষমতা সরকারের নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে। এক এক করে ১২ বছর তারা ক্ষমতায় আছে। যে চাল ১০ টাকা কেজি খাওয়ানোর কথা, সেটা এখন ৬০ টাকা। কিন্তু সরকার এতে দুঃখিত না। প্রধানমন্ত্রী, সরকারের মন্ত্রী কোনো জায়গায় কথা বলার সময় বলেনি -আমরা পারছি না, চালের দাম বেড়ে গেছে আপনাদের কষ্ট হচ্ছে।
মান্না বলেন, পেঁয়াজসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, জনগণের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা তারা বলেনি। অথচ ১৫-২০ দিন পর পর পদ্মা সেতুতে একটা স্প্যান বসিয়ে তারা তাক লাগিয়ে দিতে চায় যে উন্নয়ন করছি। যে উন্নয়নে মানুষ না খেয়ে থাকে, যে উন্নয়নে মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেচে দেয় সেটা কোনো উন্নয়ন নয়।
তিনি বলেন, আপনি অসুখে মরবেন, ক্ষুধায় মরবেন তারপরও জিনিসের দাম কমাবে না। সিন্ডিকেটকে ধরতে পারবেন না তাই জিনিসের দাম কমাতে পারবেন না। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন জিনিসের দাম কমবে না। সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।