পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রিমান্ডে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে গোল্ডেন মনিরের মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে সোনা চোরাচালান, রাজউকের প্লট দখল ও বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম। রাজউক কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে গোল্ডেন মনির প্লট বাণিজ্য করতেন বলে প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোনা চোরাচালানে কাস্টমসের কেউ জড়িত কিনা তাও তদন্ত করছে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তার কাছ থেকে নেয়া বিভিন্ন সুবিধাভোগী সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন মনির।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, সোনা চোরাচালান থেকে রাজউকের প্লট বাগিয়ে নেয়া। সব জায়গায় ছিল তার বিচরণ। জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামলার বাইরেও বিভিন্ন অপরাধের তথ্য উঠে আসছে। তিনি আরো বলেন, আমরা অতিদ্রæতই মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিল করব। ওর কাছ থেকে যে তথ্যগুলো আমরা পাচ্ছি সেগুলো আমরা অন্য সংস্থার সাথে শেয়ার করব। কিছু অসাধু কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদে। একইসঙ্গে সোনা চোরাচালানে কাস্টমসের কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ২৫-৩০ টা প্লট তার নামে/বেনামে এখনো আছে। এছাড়া অনেকগুলো প্লট সে বিক্রি করে ফেলেছে। এগুলো করতে গিয়ে সে অবৈধভাবে বিভিন্ন সংস্থার বিশেষ করে রাজউকের অনেককে তিনি ঘুষ দিয়েছেন। গোল্ডেন মনিরের গডফাদার কে? বা কাদের ছত্রছায়ায় তিনি অপকর্ম করতেন। এ নিয়ে তথ্য পেলেও সেটা বলতে নারাজ গোয়েন্তা কর্মকর্তারা।
তদন্ত সংুিশ্লষ্ট সূত্র জানায়, ২০০০ সালের শেষের দিকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিজ বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও জমির জাল দলিলসহ গোল্ড মনিরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অপহরণ, চোরাচালানসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় রয়েছে তার নামে একাধিক মামলা। ডিআইটি প্রজেক্টে অন্যের নামে থাকা একাধিক প্লট দখলের বিষয়টি নিয়েও তদন্ত চলছে। মনির গাউছিয়াতে থাকা তার একটি স্বর্ণের দোকানকে চোলাচালানের সোনা বিক্রির হটস্পট হিসেবে পরিণত করার বিষয়টি নিয়েও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। মনিরের অন্যান্য সহযোগীর বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা। মনিরের গ্রেফতারের খবরে গত ২১ নভেম্বর থেকে তার দুই সহযোগী গা ঢাকা দিয়েছেন। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কী পরিমাণ সোনার চালান দেশে এনেছেন ও পাচার করেছেন- তা অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। উল্লেখ্য গত ২১ নভেম্বর শনিবার রাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্টে তার নিজ বাসা থেকে ৬০০ ভরি স্বর্ণ, অস্ত্র, মাদকসহ বিপুল পরিমাণে নগদ অর্থ ও ১০টি দেশের বিদেশী মূদ্রাসহ গ্রেফতারের পর বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে র্যাব বাদি হয়ে অন্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছে। মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।