পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে ১২২ কোটি ২০ লাখ টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছেন আতিকুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে তিনি ও তার পরিবার ঘর ছাড়া এবং নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছেন। তাদের প্রতারণা থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান তিনি। আতিকুর রহমান একটি তৈরি পোষাক কারখানার মালিক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২২টি এলসির মাধ্যমে ১৯১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকার সমপরিমান ও আরো ৭টি এলসির মাধ্যমে ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার বেশকিছু মেশিনারিজ ক্রয় করেন।
২০১৭ সালের জুন মাসে তার অগোচরে রানিং টাইগার বিডি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইদুর রহমান হাবিব পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে তার কোম্পানীর চলমান ১৫’শটি মেশিন বন্ধ করে দেয়। এবিষয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক হাবিবকে জানানো হলে তিনি টাকা দাবি করে একটি সামঝোতা স্মারক সাক্ষরে বাধ্য করান। এরই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগী ১৩ নভেম্বর আদালতে সাইদুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে ৬৮৪ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেন। ক্ষতিপূরণ মামলা করায় হাবিব ক্ষিপ্ত হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় গত বছরের ৯ ডিসেস্বর একটি মিথ্যা মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করেন।
তিনি জানান, গত ৬ জানুয়ারি রাত ১১ টায় ডিবির কয়েজন সদস্য তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে মোকারম হোসেন জিমি নামক ব্যক্তি ডিবির লোক পরিচয়ে হাবীবকে টাকা দেয়ার জন্য নানামুখী চাপ দেন। মোকারম হোসেন জিমি বিভিন্ন সময় নিজেকে এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, দুদক, পিবিআই বা সিআইডির কর্মকর্তা বলে পরিচয় করে দেন। পরবর্তীতে জানতে পারি যে মোকারম হোসেন জিমি রানিং টাইগার বিডির পরিচালক।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি দুই পুলিশ কর্মকর্তা, হাবীব এবং জিমি টাকার জন্য দিতে চাপ দিতে থাকে। যদি টাকা না দিই তাহলে আমাকে পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গায়েব করে দেবে বলে হুমকি দেয়। তাদের হুমকির মুখে ৭৬ টি চেকে ৬০ কোটি টাকা লিখে নেয়। তারা হুমকি দিয়ে বলে জামিনে ছাড়া পেয়ে কোথাও যাতে কোন অভিযোগ না করি। তাদের হুমকির মুখে ভীত হয়ে গত ২৯ জানুয়ারী ২ কোটি টাকা দিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে তাদের বিভিন্ন হয়রানিমূলক কর্মকান্ডের কারণে বাধ্য হয়ে গত ১ মার্চ আদালতে ৭২টি চেকের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করি। মামলাটি আদালতে চলমান আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।