পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছে তা করা বা যথেচ্ছাচার নয়। একজনের স্বাধীনতার জন্য অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার কেউ কাউকে দেয়নি। তাই দায়িত্ব পালনকালে আপনাদের (সাংবাদিক) সচেতন হতে হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের রজত জয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য সংবাদপত্রকে আরও সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সংবাদপত্রকে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সাহস থাকতে হবে। প্রয়োজনে আপনারা সরকারের এমনকি আমারও সমালোচনা করবেন। তবে তা যেন তথ্যভিত্তিক হয়, একপেশে না হয়। গঠনমূলক সমালোচনা সঠিকভাবে সরকার পরিচালনা ও জাতি গঠনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে সংবিধানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, গণতন্ত্র ও সংবিধানের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে সংবাদপত্রকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সংবাদপত্রকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার চর্চা করতে হবে।
তিনি বলেন, সংবাদপত্রে সরকার, এমনকি রাষ্ট্রপতির সমালোচনা করতেও বাধা নেই, কিন্তু তা যেন তথ্যভিত্তিক হয়। কোনোভাবেই যেন একপেশে না হয়। গঠনমূলক সমালোচনা সরকার পরিচালনা ও জাতিগঠনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাইরের কেউ যাতে গণমাধ্যমের কাজে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সেলফ সেন্সরশিপকে কাজে লাগাতে হবে। সমালোচনা যাতে গঠনমূলক হয়, সে বিষয়েও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট বলেন, সকল গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে জাতির উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে তারা আরো তৎপর হবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতেও গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ধর্মের অপব্যবহার রোধে সংবাদ মাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যাতে অশুভ কিছু করতে না পারে, সে ব্যাপারেও গণমাধ্যমকে ভূমিকা নিতে হবে। সংবাদপত্রসহ সকল গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকা- মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে এবং প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীনভাবে পালিত হয়। আমরা কখনোই এ ঐতিহ্য রক্ষায় কোনো ছাড় দিতে পারি না।
মিডিয়া ওয়ার্ল্ডের চেয়ারপারসন রোকেয়া আফজাল রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার, থাইল্যান্ডের দ্য নেশন মাল্টিমিডিয়া গ্রুপের সম্পাদনা ও ব্যবস্থাপনা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা সুথিচাই সাই ইয়ুন, ভারতের দ্য হিন্দু গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সের চেয়ারম্যান এন রাম, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, জামিলুর রেজা চৌধুরী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার বীণা সিক্রি, পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর প্রমুখ।
ডেইলি স্টারের ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে ২৪ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।