পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার আর মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সুষম সার ব্যবস্থাপনায় সুফল পাচ্ছে দেশের কৃষকরা। সেই সাথে ভূমি জরিপে মাধ্যমে বিভিন্ন কলাকৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের অনাবদি জমি আসছে চাষাবাদের আওতায়। উৎপন্ন হচ্ছে অধিক ফসলও। মাটি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে নানাভাবে এই সহায়তা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংস্থা মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)। বছরে সংস্থাটির গবেষণাগারে ৪০ হাজার মৃত্তিকা পানি নমুনা বিশ্লেষণ করে সুষম সার দেয়ার সুপারিশ করছে। প্রকাশ করা হয়েছে ভূমি ব্যবহারের মানচিত্রও। নিত্য নতুন কৌশল হিসেবে অনলাইন সার সুপারিশ প্রযুক্তির মাধ্যমেও কৃষকদের সেবা দিচ্ছে।
গতকাল এসআরডিআই চলমান গবেষণা কার্যক্রম ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২০ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এক অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডার। মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডার বলেন, আমাদের কাজ হলো মাটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রযুক্তির উন্নয়ন করা। এতে করে আমাদের দেশের কৃষকদের ফসল উৎপাদনে সহায়ক হচ্ছে। লবনাক্ত জমিতে অসময়ে তরমুজ হচ্ছে আমাদের মাটির গুণগতমান উন্নয়নের ফলে। কৃষকরা সেই অসময়ের তরজুম বেশি দামে বিক্রি করতে পারছেন।
মহাপরিচালক বলেন, মাটির গুণগন মান নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেশের পাহাড়ি এলাকা দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় চাষাবাদে বিশেষ ভ‚মিকা রাখছে। এক সময় চাষ হতো না এমন অনেক জমি ইতোমধ্যেই এসেছে চাষাবাদের আওতায়। সামনের দিনগুলোতে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে আরো ভ‚মিকা রাখতে পারবেন বলে জানান তিনি ।
জানা গেছে, সংস্থাটিতে সম্প্রতি নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হওয়ার পর কাজে এসেছে নতুন গতি। এর ফলে আরো নুতন ১৯টি আঞ্চলিক কার্যালয় এবং নতুন করে ৬টি ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে এসআরডিআই মোট ৪০টি আঞ্চলিক অফিস ও ২৬টি ল্যাবের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছে কৃষকদের।
পার্বত্য অঞ্চলে ফসল চাষাবাদে ভূমি ক্ষয় একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যাকে সামনে রেখে এসআরডিআই বান্দরবানে বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পাহাড়ি এলাকার ভূমি ক্ষয়রোধে কয়েকটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত মাটি ব্যবস্থাপার মাধ্যমে লবণাক্ত মাটিতে ফসল চাষের জন্য খুলনার বটিয়াঘাটাতে ‘লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র’ গবেষনা করে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- খামার পুকুর প্রযুক্তি, কলস সেচ প্রযুক্তি, দ্বি-স্তর মালচিং, ভুট্টার ডিবলিং ও ট্রান্সপ্লানটিং পদ্ধতি, পলিব্যাগের চারা রোপন পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ, পলিবেডে শাক জাতীয় ফসল চাষ ইত্যাদি। ইতোমধ্যে ডিবলিং পদ্ধতিতে ভূট্টা চাষ দক্ষিনাঞ্চল এলাকায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে।
মাটি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম অব্যহত রেখে আগামী দিনগুলোতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে কৃষির উন্নয়নে আরো ভূমিকা রাখার কথা বলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।