পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি আইএস ও জঙ্গিদের সমর্থক বলে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, একাত্তরে যারা পরাজিত হয়েছিল; দেশী এবং বিদেশী যারা পরাজিত হয়েছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা থাকায় তাদের সেই আশা পূরণ সম্ভব হয়নি। এটাই সান্ত¦না।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, খুনিরা জাতির পিতাকে হত্যায় সফল হলেও তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা। পৃথিবী যতদিন থাকবে বঙ্গবন্ধু ততদিন মানুষের হৃদয়ে থাকবেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনাক্রম তুলে ধরে তোফায়েল বলেন, দুঃখের মধ্যেও ভাবতে ভাল লাগে, খুনীদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশে ছিলেন না বলেই বেঁচে আছেন। খুনীদের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের কোনো উত্তরসূরি যেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব লাভ করতে না পারে। সেজন্য রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল্যবোধ, আশা-আকাক্সক্ষাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, সেদিন চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশকেই হত্যা করার। আমাদের যে আদর্শ, জাতির পিতার যে আদর্শ, তার চিন্তা-চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ, আশা-আকাক্সক্ষাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
যতদিন পৃথিবীর আলো-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় বিরাজ করবেন মন্তব্য করে তোফায়েল বলেন, এবারের ১৫ আগস্ট আরেকবার প্রমাণ করেছে- ব্যক্তি মুজিব টুঙ্গীপাড়ায় ঘুমিয়ে আছেন। কিন্তু আদর্শ মুজিব, বাংলার মানুষের নয়নের মণি মুজিব, বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় বিরাজ করছেন।
বঙ্গবন্ধুর এক সময়ের রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল বলেন, একমাত্র তিনিই নেতা ছিলেন, যিনি আপস করেননি, ছিলেন আপসহীন। বার বার কত রকম সুবিধার প্রস্তাব এসেছে। তিনি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ১৪ বছর তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। কিন্তু যারা করেছে, তারা পাকিস্তানের প্ররোচনায় করেছে।
দেশ এগিয়ে চলছে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী না হতেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হত না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হত না। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মর্যাদাশালী দেশ। বঙ্গবন্ধু যা করতে চেয়েছিলেন, সেই পথেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, হলি আর্টিজানে যারা মারা গেছে, কল্যাণপুরের অভিযানে যারা মারা গেছে; সন্তানের লাশ নিতে তাদের বাবা-মাও আসেননি। অথচ বিএনপি তাদের জন্য মায়াকান্না করে। তিনি বলেন, কার সঙ্গে জাতীয় ঐক্য! যারা গ্রেনেড হামলা করে। হরতাল-অবরোধের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং যারা জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলে, তাদের সঙ্গে কিসের ঐক্য?
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নবীন কিশোর গৌতম এতে বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।