Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুর নামে মসজিদ নির্মাণ করুন, ভাস্কর্য-মূর্তি নির্মাণ ইসলামে হারাম : মাওলানা হামিদী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ১:১৩ পিএম

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির এবং দলের ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পৃথিবীতে আগমন হয়েছিল মূর্তি কে ধ্বংস করার জন্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মূর্তি নয়, স্থানে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করুন। মসজিদ আল্লাহর ঘর। মানুষ সেখানে ইবাদত বন্দেগী জিকির তেলাওয়াত দোয়া করবেন। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর ইবাদত করার কারণে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে, ছাওয়াব পাবে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার বাদ যোহর ডেমরায় অনুষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলনের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা সাব্বির আহমেদ, মোঃ হাসানুজ্জামান, মাওলানা সানাউল্লাহ ও মাওলানা বেলাল হোসাইন প্রমুখ।মাওলানা হামিদী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কাবা ঘরের পাশে থাকা সব মূর্তি ধ্বংস বা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। স্মৃতি ধরে রাখতে ভাস্কর্য বা মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামে হারাম। ভাস্কর্য এবং মূর্তি এক ও অভিন্ন, এর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। মানুষ এটার পূজা করুক, আর না করুক ইসলামের দৃষ্টিতে কোন প্রাণীর ভাস্কর্য তৈরি করা হারাম। বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত হিতাকাঙ্খীরা কখনো ভাস্কর্য- মূর্তিকে সমর্থন করতে পারে না। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা কাফির-মুশরিকদের মূর্তি সংস্কৃতি বরদাশত করবে না।

মাওলানা হামিদী আরো বলেন, মূর্তি সম্পর্কে মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং মাওলানা মামুনুল হক যা বলেছেন, কোরআন হাদিস থেকে সঠিক বলেছেন। যারা মূর্তির পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে, আলেমদের অবমাননা ও কটাক্ষ করছে তাদেরকে প্রকাশ্যে তওবা করতে হবে। আল্লাহর- রাসূলের বিপক্ষে গিয়ে যারা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি বলেন, ইসলামকে মিটিয়ে দিতে আজ চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে। নাস্তিক- মুরতাদ, কাদিয়ানীরা ধর্মপ্রাণ জনতার ঈমান-আকিদা নষ্ট করছে। ইসলাম বিরোধী সকল তৎপরতা বন্ধ করতে আমাদেরকে খোলাফায়ে রাশেদার অনুকরণে খেলাফত পদ্ধতির শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।



 

Show all comments
  • Md.Kanchol Molla ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ২:২৩ পিএম says : 0
    Yes
    Total Reply(0) Reply
  • Mohiuddin Ahmed Reza Khan ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১১ পিএম says : 0
    ১০০%সঠিক কথা।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdun nur ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১২ পিএম says : 0
    Right
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Abdullah ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১৩ পিএম says : 0
    মা শা আল্লাহ মা শা আল্লাহ হক কথা বলার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ - মাওলানা হামিদী
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুস সালাম সাইফী ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১৩ পিএম says : 0
    বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা থেকেই বলছি তাঁর ভাষ্কর্য নয় তাঁর নামে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, মাদরাসা, মসজিদ, এতিমখানা, বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ করুন। তবে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে, জনগণও উপকৃত হবে। ভাষ্কর্য নির্মাণে যৌক্তিক কোন উপকার নেই। উল্টো উভয় পক্ষের নিশ্চিত ক্ষতি রয়েছে। তাঁর চেতনা ধারণ বা তাঁর প্রতি ভালবাসার নামে অবিবেচকের মতো ভাষ্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত তাঁর বিদেহী আত্মার শাস্তির উপকরণ। অতএব, বঙ্গবন্ধুকে প্রকৃতপক্ষে ভালবেসে থাকলে দাবী ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন। সুখে থাকুক আমাদের বঙ্গবন্ধু।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Amin ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১৩ পিএম says : 0
    খুব ভালো দিক নির্দেশনা,আমিও এটাকে সাপোর্ট করছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দিন
    Total Reply(0) Reply
  • Alamin ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৪:২০ পিএম says : 0
    সকলের উচিৎ মূর্তি ও ভাস্কর্য নির্মাণ বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি ময়লানা জিয়াউল হক গংদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হওয়া। আর তাহলেই কোন ধর্ম বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই জানোয়ার রা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ধর্মভীরু জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারবেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • নূর এরফান ২৫ নভেম্বর, ২০২০, ৬:১০ পিএম says : 0
    আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমগ্র মানব কোলের শ্রেষ্ঠ মনব শুধু নন,সৃষ্টি কোলের‌ও শ্রেষ্ঠ। বলা হয় তিনার সৃষ্টি না হলে কিছুই সৃষ্টি হতো না। মূর্তিতে কেও যদি সম্মানিত হতো তাহলে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মূর্তি তৈরি হতো তিনার। এবং তা করত মুসলমানরাই। মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ মাদ্রাসা ঘর বাড়ি সর্বত্র মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হতো। কিন্তু না, মূর্তি তৈরি মূর্তি স্থাপন সংরক্ষণ মূর্তি ভজন পূজন সব কোর‌ আনে হারাম (কঠোর ভাবে নিষেধ্য) করা হয়েছে। মূর্তি বা ভাষ্কর্য তৈরি কারির শাস্তি কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। যদি নিজেকে মুসলমান মনে করেন তাহলে এসব থেকে বিরত থাকুন। আর মুসলমানিত্বে সন্তুষ্ট না হন তাহলে আপনার জন্য কোন শর্ত নাই আপনি ফ্রী। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন "ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু কু আংফুছাকুম ওয়া আহলী কুম নারা"(হে ঈমানদার গন তোমারা নিজেরা এবং তোমাদের পরিবার পরিজনদের কে কঠিন অগ্নি হইতে রক্ষা কর। এখানে ঈমানদারদের কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ঈমান হীন দের উদ্দেশ্যে বলেন নাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একজন পাক্কা মুসলমান ছিলেন নাস্তিক ছিলেননা, নামায পড়তেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নামাজ পড়েন, কোরআন পড়েন, কয়েক বার হজ্ব করেছেন। উনিও নাস্তিক নন। আল্লাহ সুবহানাহু সকলকে ছহী বুজ দান করুন আমীন।
    Total Reply(0) Reply
  • Azad mullah ২৬ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৪৩ এএম says : 0
    মাশাআললাহ আললাহ এতো সুন্দর চমত্কার একটা সমাধান এর চাইতে ভালো উপদেশ আর কি হতে পারে? হজরত কে ধন্যবাদ ধন্যবাদ জানাচ্ছি জাযাকললাহু খাইরান
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ