পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনি ইয়ার্ডে মজুদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে আসায় কয়লা বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ বিক্রি বন্ধের এই নোটিশ টানিয়ে দেয়ার পর গত এক মাস যাবত বন্ধ রয়েছে এই কয়লা বিক্রি।
এদিকে, কয়লার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন গুজবে দেশীয় বাজারে টন প্রতি কয়লার দাম বেড়েছে। টন প্রতি ১২ হাজার টাকা দরের কয়লা এখন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ভারত থেকে কয়লা আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে এর বিরূপ প্রভাব আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে। এদিকে, হঠাৎ করে কয়লা বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং ভারত থেকে কয়লা আমদানি কমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়লা কিনতে আসা অনেক ব্যবসায়ী ও ইটভাটা মালিক খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে বিপুল পরিমাণ কয়লা বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বন্ধের পূর্বে বড়পুকুরিয়ার কয়লা প্রতিটন ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হতো। গত বছর বেসরকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ কয়লা ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করে তুলনামুলক কম দামে (৬-৮ হাজার টাকা টন) দেশীয় বাজারে বাজারজাত শুরু করে। এর ফলে বড়পুকুরিয়ার কয়লা বিক্রি কমে যায়। এ অবস্থায় খনি কর্তৃপক্ষ দুই দফায় কমিয়ে প্রতিটন কয়লার মূল্য ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু আমদানি করা কয়লার চেয়ে দেশি কয়লার মান ভাল হওয়ায়ও দাম বেশির কারণে আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছিল না।
খনি কোল ইয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতা আড়াই লাখ টনের বিপরীতে মজুদ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৩২ হাজার টন কয়লা। এই বিপুল পরিমাণ মজুদ কয়লা নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়ে। পরে গত ২২ মে কয়লার মূল্য আরেক দফা কমিয়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে কয়লার বিক্রি কিছুটা বেড়ে যায়।
গত মে ও জুন মাসে ৯৮ হাজার টন কয়লা বিক্রি হয়। এ সময়ের মধ্যে পার্শ্ববর্তী ২৫০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয় প্রায় ১ লাখ টন কয়লা। গত ১০ জুলাই পর্যন্ত মজুদ কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৫ হাজার টন। এরমধ্যে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টন মজুদ রেখে অবশিষ্ট কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবে খনি কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, প্রায় একমাস ধরে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কারণ, আর কয়েকমাস পর ইট পোড়া মৌসুম শুরু হবে। তখন কয়লা পাওয়া না গেলে বড় ধরনের সঙ্কট তৈরি হবে।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামান জানান, ১১ জুলাই পর্যন্ত আগে আসলে আগে পাবেন এই নীতিতে কয়লা বিক্রি করা হয়েছে। গত ১২ জুলাই হঠাৎ চাপ বেড়ে গেলে উপস্থিত ক্রেতাদের প্রত্যেককে ১০০ থেকে ২০০ টন করে কয়লা দেয়া হয়। ১৩ জুলাই অনেক ভাটা মালিক ও কয়লা ব্যবসায়ী কয়লা কিনতে আসলেও তাদের কয়লা দেয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে কয়লা বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।