পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্পোর্টস ডেস্ক : ঘোষণা দিয়েই রিওতে পা রেখেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, অমরত্ব পেতে যা যা করার তা করবেন। অলিম্পিক স্প্রিন্টে ‘ডাবলের ট্রিপল’ জিতে নিজের কথা রেখেছেন উসাইন বোল্ট। টানা তিন অলিম্পিক ডাবল তো দূরের কথা টানা দুই অলিম্পিকেই তো ডাবল জয়ের কীর্তি নেই কারো। রিওতে ১০০ মিটারের পর কাল ২০০ মিটার জয়, তাই শুধু নিজেকেই ছাড়িয়ে যাওয়া। অবিশ্বাস্য এই কীর্তির পর নিজেই ঘোষণা দিলেন, ‘নিজেকে প্রমাণ করার আমার আর কিছুই বাকি নেই। আমি যে বিশ্বের সেরা সেটা প্রমাণ করতেই আমি এখানে এসেছিলাম, সেটাই করেছি। গ্রেটেস্ট হতে আমার আর কি করতে হবে?’
সত্যিই তো, নিজেকে গ্রেটেস্ট প্রমাণের আর কী-ই বা বাকি আছে তার। গতকালও ট্রাকে প্রতিপক্ষকে সুযোগই দিলেন না। সেমিফাইনালের সমান ১৯.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এদিনও গতি দানব দৌড় শেষ করেন সেই আয়েশি ভঙ্গিমায়। ২০ সেকেন্ডের নিচে দৌড় শেষ করতে পারেনি আর কেউই। রুপাজয়ী কানাডার আন্দ্রে দে গ্রাস ফিনিশিং লাইন ছোঁন ২০.০২ সেকেন্ড সময় নিয়ে। তার চোইতে দশমিক ১০ সেকেন্ড সময় বেশি নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন ফ্রান্সের ক্রিস্টোফে লেমেত্রে।
জ্যামাইকার বজ্রবিদ্যুৎই যে ট্রাকে নামবেন আর জিতবেন এটা তো একপ্রকার ‘নিয়ম’ই। অলিম্পিক ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন্সশিপ মিলে এই ইভেন্টে রেকর্ড টানা সাতবার জিতলেন স্বর্ণ। এদিনও যে তিনিই জিতবেন সেটা জানাই ছিল। শুধু দেখার বিষয় ছিল ২০০ মিটারে নিজের সেরা সময়ে গড়া সেই বিশ্ব রেকর্ডটা (১৯.১৯ সেকেন্ড) ছাড়িয়ে যেতে পারেন কি না। নিজেও বলেছিলেন এটাকে আরো নামিয়ে আনার চেষ্টা করবেন, কিন্তু পারলেন না। আফসোস যা তা শুধু এই নিয়েই। তবে বাস্তবতাও তো মানতে হবে। ২৯ বছর বয়সে ২০০ মিটার জয়ের কির্তী নেই কারো। সেটাকেও ছাড়িয়ে আগামীকাল বোল্ট পা দেবেন ত্রিশে। নিজেই তাই স্বীকার করে নিলেন বাস্তবতাটা, ‘আমার পা কেন যেন চলছিল না। বুড়ো হয়েছি না! আমি তো এখন আর ২৬ বা ২১ বছরের নই।’
গ্রেটেস্ট হয়েই রিওর পর অবসরে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন নিজের নামটা মোহাম্মাদ আলী ও পেলের কাতারে নিয়ে যেতে। তার অর্জনই বলছেÑতিনি পেরেছেন। এখন তাই সত্যিই তিনি এখন গ্রেটেস্ট। তবে নিজেকে আরো উপরে নিতে আরো একটি সুযোগ আছে তার সামনে। ‘ট্রিপলের ট্রিপল’ জয়। যতক্ষণে এই লেখা পড়ছেন ততক্ষণে হয়তো পুরুষ ৪*১০০ মিটার রিলে জিতে সেটিও সম্পন্ন করেছেন স্প্রিন্ট বিস্ময়।
এমন বিস্ময়ের দিনে দিনের বাকি সব কীর্তি যেন আড়ালে পড়ে যায়। অলিম্পিকের ত্রয়োদশতম দিনে তাই মাত্র তৃতীয় অ্যাথলেট হিসেবে টানা দুটি স্বর্ণ জিতেও অনেকটা আড়ালে পড়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাশটন হটন। ট্রায়াথলনে ইতহাস গড়েও বোল্ট কীর্তিতে ঢাকা পড়ে গেছেন দুই ভাই অ্যালিস্টার ব্রাউনলি আর জনি ব্রাউনলি।
অলিম্পিক ইতিহাসে গত ৫৬ বছরে একই ইভেন্টে দুই ভাইয়ের স্বর্ণ-রৌপ্য জয়ের একমাত্র কির্তী গড়েন অ্যালিস্টার-জনি সহদর। লন্ডন অলিম্পিকের পর এবারো ট্রায়থলনে স্বর্ণ জেতেন অ্যালিস্টার। ছোট ভাই জনি সেবার জিতেছিলৈন ব্রোঞ্জ, এবার জেতেন রৌপ্য। এই ইভেন্টে টানা দুই স্বর্ণ জয়ের অ্যালিস্টারের কীর্তিটা বিশেষ মর্জাদা পাচ্ছে এই কারণে যে, অলিম্পিকের সবচেয়ে কঠিনতম ইভেন্ট ধরা হয় ট্রায়াথলনকে। দেড় কিলোমিটার সাঁতারের পর ৪০ কিলোমিটার সাইক্লিং, কোনো সময় ক্ষেপণ না করে সাথে সাথে ১০ কিলোমিটার দৌড়। এই কঠিন কাজই টানা দুই আসওে শীর্ষে থেকে করে দেখালেন অ্যালিস্টার। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করে এদিন ফিনিশিং লাইন ছুঁয়েই জনিকে খুঁজতে থাকেন অ্যালিস্টার। ৬ সেকেন্ড পর ছাট ভাইকে পেয়ে উল্লাসে মাতেন যুক্তরাজ্যের এই দুই সহোদর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।