পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকর্মীদের করোনাকালের নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেছেন। গতকাল রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত ‘চিত্রকর্ম ও আলোকচিত্রে করোনায় গণমাধ্যমের লড়াই’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। বিজেসি’র ট্রাস্টি সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সভাপতিত্বে আলোচনায় বরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও গুলশান হোসেন অনলাইনে যোগ দেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনার শুরু থেকেই ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে অত্যন্ত সাহসিতার সাথে সাংবাদিকরা কাজ করে চলেছেন, সত্যিই তা প্রশংসনীয়। আমি কোনো সাংবাদিককে ভীতি নিয়ে হাতগুটিয়ে বসে থাকতে দেখি নাই। এতে করে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন, যা আমি কখনো ধারণা করতে পারিনি।
করোনায় যখন দেশে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয় তখন পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিকদের আর কিছু অন্যান্য গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এতে করে একে একে ৩৭জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন, কয়েকশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই করোনাকালে সঠিক সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছানোর কাজে এবং গুজব এবং কুচক্রী মহলের নানামুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিক, মূলধারার গণমাধ্যমগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, সাংবাদিকেরা যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তাদের মধ্যে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের পাশে যেভাবে দাঁড়ানোর প্রয়োজন ছিল, তা দাঁড়ায়নি। শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, এই সময় শুধুমাত্র ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো ক্যানভাসকে না দেখে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনার জন্য। অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনুসরণ করা হয়নি। অনেক সাংবাদিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে, যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে সাংবাদিকরা দেশ ও সমাজকে পথ দেখায়, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, অব্যক্তদের পক্ষে কথা ব্যক্ত করে, ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করে, উপেক্ষিতের পক্ষে কথা বলে, তাদের চাকুরির নিশ্চয়তা দরকার এবং তাদের যে সমস্ত সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে, এ লক্ষ্যে শিগগিরই আসছে গণমাধ্যমকর্মী আইন।
বিজেসির নির্বাহী শাহনাজ শারমিনের উপস্থাপনায় সভাস্থলে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা গবেষক ডা. সালেহ মাহমুদ তুষার, চিত্রশিল্পী মো: মনিরুজ্জামান ও তাহমিনা হাফিজ লিসা।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।