পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিলে অপ্রয়োজনীয় সময়ক্ষেপণ না করতে রাষ্ট্রপক্ষকে তাগিদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুজিবর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামিমের ডিভিশন বেঞ্চে রায়হান হত্যার বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
গত রোববার সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এমন নির্দেশনা দেন। শুনানীর সময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি এমন নির্দেশনা দেন। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া আকবরকে স্বীকারোক্তি আদায় না করে পুনরায় রিমান্ডে না নেয়ায় হতবাক প্রকাশ করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম। গত শনিবার এ বিষয়ে তিনি বলেন, আকবর খাসিয়াদের কাছে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছে সেই স্বীকারোক্তি পর্যন্ত আদায় করতে পারেনি পিবিআই। তাকে জামাই আদরের জন্য নাকি বিচারের জন্য ধরা হয়েছিল? তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেন, এ মামলার পূর্বের তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক মহিদুল ইসলামের সততায় তারা আশাবাদী ছিলেন, কিন্তু পরিবর্তিত নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা আওলাদের কার্যক্রমে তারা সন্তুষ্ট নন। ৭ দিনের রিমান্ডে কি স্বীকারোক্তি দিল সে, তাহলে কি রিমান্ড হলো, পুনরায় কেন স্বীকারোক্তি নেয়া হলো না এরকম প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আমরা ভাল ফলাফল পাবো বলে মনে করছি না। হয়তো আকবরের সাথে বায়েস্ট হয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, আকবরকে জেল হাজতে পাঠানোর পর কোন যোগযোগ হয়নি পিবিআইয়ের সাথে। তবে তিনি খবর দিয়েছিলেন তার পাড়ায় জনৈক আলীমুদ্দীনের বাসায় ২ ভাড়াটিয়া মাহিলা ছিলেন। সেখানে আকবর ও তার বন্ধু মুরাদকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে তার ছেলে রায়হান প্রতিবাদ করেছিলেন। এ সময় আকবর বলেছিলেন তার ছেলেকে (রায়হান) চিনাবেন। কিন্তু এ খবর প্রদানের পরও এ নিয়ে কোন তথ্য পাচ্ছেন না তিনি। তিনি বলেন, তদন্ডে গড়িমসি আরো লক্ষনীয় হলে জনতাকে নিয়ে আন্দোলন করবেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাবেন।
এদিকে, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ জানান, আদালত দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং চার্জশিট দাখিলে যাতে কোন সময়ক্ষেপণ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
শুনানীতে ব্যারিস্টার ফয়েজ বলেন, রায়হান হত্যা মামলা একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। রায়হান হত্যাকান্ড নিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে বিক্ষোভের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন তিনি। এদিকে রায়হান হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর ব্যারিস্টার ফয়েজ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। এ রিটের পক্ষভূক্ত হওয়ার জন্য নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম গত ১ নভেম্বর একটি আবেদন দায়ের করেন। রিট পিটিশন এবং সালমা বেগম এর আবেদনটি আগামী ১৪ জানুয়ারী হাইকোর্ট এর কার্য তালিকায় থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার ফয়েজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।