পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ ৫০ হাজার হেক্টর বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল রোববার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভা পরিচালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
মন্ত্রী বলেন, বন্যাসহ নানা কারণে এ বছর আমনের উৎপাদন ভাল না হওয়ায় ধানের দাম খুব বেশি।
যেটি নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি। সেজন্য, যে কোন মূল্যে আমাদের আগামী মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে। বোরোর চাষযোগ্য কোন জমি যাতে খালি না থাকে সে ব্যাপারে কৃষকদের উৎসাহ দিতে হবে। বোরোর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে মাঠ থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সকল কর্মকর্তাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং কৃষকের পাশে থাকতে হবে। মন্ত্রী বলেন, এবছর ধানের ভাল দাম পাওয়ায় চাষি-কৃষকেরা খুশি ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় আছে। অন্যদিকে, আমরা কৃষকদেরকে যে বোরো ধানের উন্নত বীজ সরবরাহ করছি, সার, সেচসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় যে প্রণোদনা দিচ্ছি তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, শুধু বোরো ধান নয়, সামনে রবি মৌসুমে যে ফসলগুলো আছে যেমন, পেঁয়াজ, গম, আলু, ভুট্টা, সরিষা, শাকসবজি, মাসকলাইসহ সকল ফসলের উৎপাদন বাড়াতে এখনই কাজ করতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিসহ সারা দেশে ভুট্টা চাষের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই, এসকল ফসল অত্যন্ত সফলভাবে উৎপাদনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব সাফল্য আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে-উৎপাদন বাড়িয়ে সে ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। গত অক্টোবর পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ১৬.৩০%। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি প্রায় ১৩%। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল,অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা) মো. আব্দুল কাদের এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।