পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৮ কোটি টাকা মূল্যের জাল স্ট্যাম্পসহ জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযুক্তরা জাল স্ট্যাম্প-ডাক টিকেট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিচ্ছিল। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি জানান, গত ১৯ নভেম্বর পল্টন ও আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আশরাফুজ্জামান ওরফে আকাশ (৪৫), মো. মোরসালিন সরদার সোহেল (৩০), মো. রনি শেখ (২৫) ও মো. আব্দুল আজিজকে (২৩) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল স্ট্যাম্প প্রস্তুতের জন্য ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, দুটি বড় ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন, একটি লোহার সেলাই মেশিন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৮ কোটি টাকা মূল্যের জাল স্ট্যাম্প, ডাক টিকিট ও কোর্ট ফি জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে জাল স্ট্যাম্প তৈরি করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। এই চক্রের অন্যতম সদস্য পলাতক মনির মোল্লা ও সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের সহায়তায় তারা এই কাজ করত।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, প্রতি পাতা জাল স্ট্যাম্প তৈরিতে ১৫-১৬ টাকা খরচ হয় এবং ২৫-৩০ টাকায় তারা ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে থাকে। জাল স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধার না হলে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারতো উল্লেখ করে হাফিজ আক্তার বলেন, একাধিক সাধারণ স্ট্যাম্পের মধ্যে তারা জাল স্ট্যাম্প ঢুকিয়ে ব্যবহার করতো। এতে করে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাতো। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনের এডিসি মিশু বিশ্বাস বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে জাল স্ট্যাম্প কিছু অসৎ ভেন্ডরদের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে আসছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের কারা কারা জড়িত আছে; তা আমাদের তদন্তে বের হয়ে আসবে এবং অনতিবিলম্বে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।