পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ৭১-এর এই দিনেই আত্মোৎসর্গের ব্রত নিয়ে দেশমাতৃকাকে শত্রæমুক্ত করতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা মুক্তিকামী সাধারণ জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে অপ্রতিরোধ্য আক্রমণের সূচনা করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি তথা অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্য শনিবার ২১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারী টেলিভিশন এবং রেডিও চ্যানেলে একযোগে প্রচার করা হয়।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে তাদের সামরিক সচিবগণ ২১ নভেম্বর সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পু¯পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনীপ্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পু¯পস্তবক অর্পণ করবেন। তিন বাহিনী প্রধানগণ বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট এবং গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, আরসিডিএস, পিএসসি (অবঃ), তিন বাহিনী প্রধান ও প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিদ্যমান বৈশ্বিক মহামারী (কোভিড-১৯) এর প্রেক্ষিতে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২০’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সদস্যদের ২০১৯-২০২০ সালের শান্তিকালীন পদক প্রদান অনুষ্ঠান এবং সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত¡াবধানে বাহিনীত্রয় এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদানকৃত উপহার সামগ্রী বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও অন্যান্য নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/উত্তরাধিকারীদের নিকট পৌঁছানো হবে। ্রশান্তিকালীন পদক› সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে বাহিনী প্রধানগণ সুবিধাজনক সময়ে প্রদান করবেন।
প্রেসিডেন্টের বাণীঃ প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে ইতিহাসে ২১নভেম্বর একটি স্মরনীয় দিন। মহান মুক্তিযোদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের এই দিনে তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানী হানাদার বানিহীর উপর সর্বাত্মক আক্রমন পরিচালনা করে। মহান মুক্তিযোদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনীর জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক।
প্রধানমন্ত্রীর বাণীঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীকে দেশে ও বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করছি। জাতির পিতার নির্দেশে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের উপযোগী ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।