পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চার মাস পর অটেরিকশা চালক শেখ মিন্টু হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূল আসামি আলী হায়দার ওরফে নাহিদ হাসান নাহিদকে সাভার থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই ঢাকা জেলার একটি টিম। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও আসামির একজোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় পিবিআই ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন শেখ মিন্টু। অটোরিকশা চালাতেন ঢাকার আশুলিয়া এলাকায়। চলতি বছরের ১৩ জুলাই রাতে অটোরিকশা নিয়ে ফিরছিলেন মিন্টু। ১৭০ টাকা ভাড়ায় উঠেন তিন যাত্রী। কিছুদূর যেতেই চালক মিন্টুর সন্দেহ হয়। ভাড়া চাইলে আশুলিয়ার রশিদ মেম্বারের বাড়ির মোড়ে যাত্রীবেশে ওঠা ছিনতাইকারীরা মিন্টুর গতিরোধ করে ও মারধর শুরু করেন। একজন চাকু দিয়ে মিন্টুর গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে পিবিআই।
পুলিশ সুপার আরো জানান, হত্যার ঘটনায় মূল আসামিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকারীরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘ ৪-৫ বছর যাবৎ আশুলিয়া, সাভার এলাকায় ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের টার্গেটে ছিল অটোরিকশা চালকরা। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়ায় নির্জন স্থানে নিয়ে চালককে মারধর করে টাকা পয়সা ও রিকশার ব্যাটারি খুলে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনতাইকৃত এসব ব্যাটারির সেট বিভিন্ন জেলায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। এছাড়াও এই চক্রটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ভোরে ও রাতের সময় বাস থেকে নামা যাত্রীদের ছিনতাই করে সর্বস্ব লুটে নিতো।
তিনি বলেন, গ্রেফতার নাহিদ ছিনতাই চক্রের দলনেতা। তার এই চক্রে বেশ অন্তত ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নাহিদের সঙ্গে আরও ২ জন ছিলেন। তাদেরও গ্র্রেফতারে অভিযান চলছে। আসামিরা মিন্টুকে হত্যা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে ঝাউবনে পালিয়ে যায়। সেখানকার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছি। তবে সেই ফুটেজটি ছিলো অস্পষ্ট। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নাহিদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।