পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুন্দরবনের সর্বশেষ সীমানা থেকে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। তবে এই চরে নাম করণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু চর। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রের আওতার মধ্যে পড়েছে ওই চরটি। চরটি বন বিভাগের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর থেকেই সেখানে নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছে বন বিভাগ। সঠিক ব্যবস্থাপনায় রাখলে এই চর হয়ে উঠতে পারে আরেক সুন্দরবন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান ইনকিলাবকে বলেন, সুন্দরবনের সর্বশেষ সীমানা থেকে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা চর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুবর রহমানের নামে চরটির নাম করণ করা হবে। তাবে প্রস্তাব রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু চর। আমি চরটি পরিদর্শন করার পর সেখানে একটি টহল ফাঁড়ি করার নির্দেশা দিয়েছি। এছাড়া চরটির সার্ভে করার জন্যও বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর চরটি বেশ দুর্গম। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ সেখানে যেতে চান না। সচিব স্যার প্রথম চরটি পরিদর্শন করেছেন। চরের ভূ-প্রকৃতি দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। চরটিতে যেন জীববৈচিত্র্যের পরিবেশ অক্ষুন্ন থাকে ও কেউ ক্ষতিসাধন করতে না পারে সে জন্য সেখানে একটি টহল ফাঁড়ি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার ওই নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে একটি ফাঁড়ি করার কার্যক্রম চলছে।
বঙ্গবন্ধু চরের আয়তন প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার। তবে ধীরে ধীরে এর আয়তন আরও বাড়ছে। ইতোমধ্যে চরটি বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার নজর পড়েছে। ওই সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের স্টেশন ও ট্যুরিস্ট স্পট করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ওই চরকে বিরক্ত না করলে সেটিও হয়ে উঠতে পারে বঙ্গোপসাগরের বুকে আরেকটি সুন্দরবন। তবে কে কবে চরটির নামকরণ বঙ্গবন্ধু চর করেছে তা বলতে পারেন না বন কর্মকর্তারা। তারা শুনেছেন জেলেরাই প্রথম চরটির অস্তিত্ব জানতে পেরেছে। এরপর কেউ হয়তো চরটির নামকরণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর চর। সেই থেকে চরটি ওই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ বলেন, ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর চরে ম্যানগ্রোভ বনের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ জন্মাতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে চরটি হয়ে উঠছে সুন্দরবনের অংশ। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বন্য পশুপাখিও বিচরণ করতে দেখা গেছে। এ কারণে সেটি সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কেউ যেন ওই বনের ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য সেখানে টহল ফাঁড়ি করার কাজ চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।