Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমেছে ধুলি দূষণ

রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম



রাজধানীতে হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমেছে। সেই সাথে কমেছে বাতাসে ধুলি দূষণের মাত্রা। তারপরও রাজধানীর বায়ু এখনো অস্বাস্থ্যকর। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে গতকাল সকালে রাজধানীর বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ১৭২ পিএম। বৃষ্টির পর বিকালে ১৬৫ পিএম-এ দাড়িয়েছে বায়ুমান।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ছে। টানা কয়েকদিন বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে ১৬৫ পিএম বায়ুমান নিয়ে বিশ্বের বায়ু দূষণের দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ১৫৬ পিএম বায়ুমান নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে পাকিস্তান, ১৫৪ পিএম বায়ুমানে তৃতীয় মঙ্গোলিয়া, ১৫৩ পিএম-এ চতুর্থ আফগানিস্তান এবং ১৫২ পিএম বায়ুমান নিয়ে ৫ম অবস্থানে আছে ভারত।
আইকিউ এয়ারের গতকালের তথ্য মতে, গত চার দিন দেশে বায়ু দ‚ষণের গড় হার ১৫০ থেকে ১৬০ পিএম এর মধ্যে ছিল। যা ‘আনহেলদি ফর সেনসেটিভ গ্রুপস’ ক্যাটাগরির দূষণ। এই দূষণ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভোগা ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর। এই মাত্রার দূষণে শিশু, বৃদ্ধ ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভোগা ব্যক্তিদের বাইরের বের না হওয়ার পরামর্শ থাকে। এ ছাড়া এই বায়ু দূষণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিরও আশঙ্কা রয়েছে।
আইকিউ এয়ারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমান বায়ু দূষণ হলো ‘আনহেলদি’ ক্যাটাগরির দূষণ। এই মাত্রার দূষণে যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভোগা ব্যক্তিদের এ অবস্থায় করোনার ঝুঁকি খুবই বেশি। বৃদ্ধ, শিশু, শ্বাস-প্রশ্বাসে রোগে ভোগা ব্যক্তিসহ সবাইকে বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রাজধানী ঢাকা আবার বিশ্বে বায়ুদূষণের শিকার শহরগুলোর শীর্ষ তালিকায় উঠে এসছে। ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হচ্ছে ধুলা। অপরিকল্পিতভাবে শহরের যেখানে-সেখানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও উন্নয়ন কাজের জন্য রাজধানীর বাতাসে ছড়াচ্ছে ধুলা। আর তাতে বিষাক্ত হচ্ছে রাজধানীর বাতাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত চার কারণে রাজধানীবাসী বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ধুলাদূষণ হলো অন্যতম প্রধান কারণ। দ্বিতীয়ত, পুরনো যানবাহনের আধিক্য ও এসবের কালো ধোঁয়া। তৃতীয়ত, শহরের আশপাশের শিল্প-কলকারখানার দূষণ। চতুর্থত, শহরের ভেতরে যে ময়লা আবর্জনা জমে সেগুলো পোড়ানোর ধোঁয়া। পরিবেশ অধিদপ্তর যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন ঘটছে না। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান প্রথম দিকেই। রাজধানী ঢাকায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। পরিবেশবিদরা বলছেন, অন্য দেশগুলো তাদের বড় শহরগুলোর বায়ুদূষণ রোধে যেখানে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, সেখানে ঢাকা অনেকটাই ব্যর্থ। ধুলাদূষণ রোধে সকাল বিকাল পানি ছিটানো এবং নির্মাণ কাজের স্থান ঢেকে রাখার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও পরিবেশ অধিদফতর কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শহরের মধ্যে উন্নয়নকাজের ফলে সৃষ্ট ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না দুই সিটি করপোরেশন। দূষণের আরেক বড় উৎস ঢাকার বর্জ্য, আর এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও আধুনিকায়ন করতে পারেনি দুই সিটি করপোরেশন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধুলি-দূষণ

২১ নভেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ