Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৩৯ হাজার ৬২২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

আমদানি-রফতানির সাথে বাড়ছে রাজস্ব আদায়

প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রফিকুল ইসলাম সেলিম : আমদানি-রফতানি বাড়ছে, সেইসাথে বাড়ছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) ৩৯ হাজার ৬২২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। অর্থবছরের প্রথম দেড় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। কর্মকর্তারা আশাবাদী অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। গেল অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
দেশে আমদানি-রফতানি বাড়ছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় গেল অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বেশি পণ্য আমদানি-রফতানি হয়েছে। বন্দরের হিসাবে গেল অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৭ কোটি ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৭ মেট্রিক টন পণ্য উঠা-নামা হয়েছে। এসময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩৯ টিইইউএস। আগের অর্থবছরে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৫ মেট্রিক টন পণ্য এবং ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৬২ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের নৌ-বাণিজ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ কন্টেইনার এবং ৯২ শতাংশ পণ্য হ্যান্ডলিং হয়ে থাকে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর খাতের একক বৃহত্তম সর্বোচ্চ রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান। দেশের আমদানি বাণিজ্যের ৫৩ শতাংশ ও রফতানি বাণিজ্যের ৮৫ শতাংশ কার্যক্রম এই শুল্ক ভবনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ২৩ শতাংশ এই দপ্তর আহরণ করে।
এদিকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ১০ দফা নির্দেশনা জারি করেছেন কাস্টম হাউসের কমিশনার এএফএম আবদুল্লাহ খান। ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ত্বরিৎ শুল্কায়ন, পদ্ধতিগত সংস্কার, জটিলতা নিরসন, নিবিড় তদারকির মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ে গতিসঞ্চারের জন্য এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান কাস্টম হাউসের একজন কর্মকর্তা।
নির্দেশনায় বলা হয়, সকল বিল অব এন্ট্রি দ্রুত শুল্কায়নের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল পর্যায়ে সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। যে সকল ট্যারিফ লাইনে সিডি হার শূন্য আছে সে সকল চালান শুল্কায়নের পূর্বে বিইতে ঘোষিত পণ্যের বর্ণনা এবং এইচএস কোড আবশ্যিকভাবে এ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড থেকে আইজিএম’র সঙ্গে মিলিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তাগণ শুল্কায়ন করবেন।
দীর্ঘকাল পড়ে থাকা ব্যাংক গ্যারান্টি, ইনডেমনিটি বন্ড, ডেফার্ড পেমেন্ট, দাবীনামা এবং ২০২ ধারা জারিযোগ্য বকেয়ার তালিকা এবং উক্ত বকেয়া আদায়ের জন্য ২০২ ধারা জারিসহ সার্টিফিকেট মামলা রুজুসহ প্রয়োজনীয় সকল আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
শুল্ক ফাঁকি রোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া বড় অংকের রাজস্ব জড়িত পণ্য চালানের উপর অবিলম্বে পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
মিথ্যা ঘোষণা হতে পারে এমন এইচএস কোডভুক্ত পণ্যের তালিকা তৈরী করে আমদানিকৃত পণ্য নিবিড়ভাবে মনিটরিং করতে হবে। প্রাপ্ত বড় বড় মিথ্যা ঘোষণার সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের চালানগুলো পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট করতে হবে। বিল অব এন্ট্রিতে পণ্যের যথাযথ বাণিজ্যিক বর্ণনা এন্ট্রি নিশ্চিত করতে হবে। আপীল কমিশনারেট, আপীলাত ট্রাইব্যুনাল ও হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত মামলাসমূহ নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৩৯ হাজার ৬২২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ