পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, মানুষের অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘মজলুম জননেতা’ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন সবসময় সোচ্চার। অন্যায়, জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম অনুসরণীয়। বর্তমান ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সরকারের পতন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের আন্দোলনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে মরিয়া লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক নেতৃত্ব মাওলানা ভাসানী। গত মঙ্গলবার মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার সমাধিতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো গণসংহতি আন্দোলনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন সকাল ১০টায় সন্তোষে মওলানা ভাসানীর সমাধিতে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানায় গণসংহতি আন্দোলন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভ‚ইয়া, মনিরউদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায়সহ ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার নেতাকর্মীরা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের দেশে প্রাণ-প্রকৃতি, মানুষের অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আজ যত ধরনের সংকট ও উদ্বেগ রয়েছে, তা থেকে বাঁচার লড়াইয়ের দিশা ও নেতৃত্ব হতে পারেন মওলানা ভাসানী। এই সময়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক নেতৃত্ব হলেন তিনি। অত্যাচার, লুটপাট, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভুখা মিছিল করেছিলেন মওলানা ভাসানী। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন।
সাকি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত এবং জনগণের নিরাপত্তা বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে ভয়ংকর বিপদের মুখে। আন্তর্জাতিকভাবেও আমাদের দেশ স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে কি না, তা জাতীয় সংহতি বজায় রাখার ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, লুটপাটসহ জীবনের নিরাপত্তা হরণের মাধ্যমে দেশের জনগণকে বিভক্ত করে রেখেছে। তাই এই সরকারের পতন ও দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণ এখন জনগণের ন্যূনতম দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই লক্ষ্যে দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে মরিয়া লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক নেতৃত্ব মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
এদিকে, মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল ২০ নভেম্বর রাজধানীর শাহাবাগে জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ জনসভায় চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয় সম্পর্কে বক্তব্য রাখবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।