পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ের ‘অতিবিপ্লবীদের’ মত এখনকার ‘খেলাফতিরাও’ বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন পাবেন না। খেলাফতিদের ভাগ্যও হবে অতিবিপ্লবীদের মতো।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, স্বাধীনতার পর প্রতিকূল পরিবেশেও বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে সময় ‘একটি মহল’ তাকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। যারা মুষ্টিমেয় ব্যক্তি, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল আর অতিবিপ্লবী, তখন বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র, পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি, পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদের গণবাহিনী এই সমস্ত লোকগুলি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি।
আইজিপি বলেন, ওই সময়ে তারা পুলিশ হত্যা করেছে, থানা লুট করেছে, ফায়ারিং করেছে, আওয়ামী লীগের লোকদের হত্যা করেছে। তারা যে ‘ভুল পথে ছিল’, শেষ পর্যন্ত তা ‘প্রমাণ হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অতিবিপ্লবী যারা ছিলেন, তারা বলতেন রাজনৈতিক প্রতিবিপ্লবী দিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসবেন। লম্বা লম্বা বক্তৃতা দিয়ে যুবক শ্রেণির ব্রিলিয়ান্ট ছেলেদের তারা বিপথগামী করেছিলেন। যারা ইউনিভার্সিটিতে পড়ত, যারা মেডিকেলে পড়ত তাদের দলে নিত অতিবিপ্লবীরা। তাদের অনেকেই আজ নিহত হয়েছে। আজকে প্রমাণ হয়েছে, তারা ভুল করেছেন।
সেই সময়ের মত এখন আবার ‘অতি মৌলবাদী’ একটি শক্তি ‘জিহাদের নামে, খেলাফতের নামে’ বাংলাদেশের মানুষকে বিপথে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন আইজিপি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এটা এখন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। সেই সামর্থ্য, মনোবল আমাদের আছে। বিশ্বাস করি, অতিবিপ্লবী যারা কমিউনিস্ট, তারা যেমন মানুষের সমর্থন পায়নি, তেমনি এখন যারা খেলাফতের কথা বলছেন, তারাও বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন পাবেন না। এ বিষয়ে এরই মধ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে গিয়ে তার নেতৃত্ব, দেশপ্রেম ও কূটনৈতিক দক্ষতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার বৈদেশিক নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি ও সাহায্য সহযোগিতা নিয়েছেন। বিদেশি সৈনিকদের সাহায্য নিয়ে যখন কোনো দেশ স্বাধীন হয়, মাত্র আড়াই মাস, তিন মাসের মাথায় তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া বিশ্বে আর একটি দৃষ্টান্ত নাই। কিন্ত তিনি তা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আইজিপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, তাদের সহযোগিতা ছাড়া, ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতা ছাড়া এত অল্প সময়ে স্বাধীন হতে পারতাম না, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কারণে তারা আন্তরিক ছিলেন।
সৃষ্টিকর্তা বঙ্গবন্ধুকে ‘বাঙালি জাতির ত্রাতা হিসেবে’ পাঠিয়েছিলেন মন্তব্য করে শহীদুল হক বলেন, এমন মহাপুরুষ যুগে যুগে আসে না। তিনি বিশ্বের বুকে বাঙালির একটি স্থান করে দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।