Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফলাফলে আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী

আমাদের ছেলেমেয়েরা সব থেকে মেধাবী

প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার ফল হাতে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করায় তিনি ছেলেদেরকে আরও ভালোভাবে পড়াশুনা করার তাগিদ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরাই সবচেয়ে মেধাবী। আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়ে উভয়েই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে। কারণ, বিশ্বের যে কোনো দেশের ছেলেমেয়েদের থেকে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবীÑ এটা আমি বিশ্বাস করি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) গণভবনে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিভিন্ন দেশের স্কুল পরিদর্শনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাওয়ার। যখন যেখানে গিয়েছি অনেক স্কুল আমি পরিদর্শন করেছি, অনেক স্কুলের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার সবসময়ই মনে হয়েছে, আমাদের ছেলেমেয়েরা সব থেকে মেধাবী ছেলেমেয়ে; প্রয়োজন শুধু সুযোগটা সৃষ্টি করে দেওয়া। এসময় যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই সেখানে তা করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ফল হাতে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাসের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আরেকটু বেশি আনন্দিত যে আমাদের মেয়ে শিক্ষার্থী বেড়ে গেছে এবং তাদের পাসের হার বাড়ছে। তবে এখানে আমি মনে করি, ছেলেমেয়ে যে-ই হোক, সন্তান সন্তানই। এরা সকলেই শিক্ষার্থী। কিন্তু ছেলেদের আর একটু পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। কারণ, ছেলেদের একটু বাইরে-বাইরে ঘোরা আর দুষ্টুমি করার দিকে বোধহয় নজরটা বেশি থাকে ... পড়াশোনা, বই নিয়ে বসে থাকা- এই সময়টা দিতে চায় না। এজন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের আরেকটু যতœবান হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “সবাই ভালোভাবে পড়াশোনা করবে, পাস করবে- সেটাই আমরা চাই। বাচ্চারা দুষ্টুমি করবে, খেলাধুলা করবে ... আমরাও চাই খেলাধুলার দিকে মনোযোগী হোক। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা সবকিছুরই প্রয়োজন আছে। সবই চর্চা করতে হবে। কারণ, ফিটনেস একান্ত দরকার। কিন্তু সেই সাথে সাথে পড়াশোনা অবশ্যই করতে হবে।” এ সময় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদক ‘পরিহার’ করে ‘নিজেদের গড়ে তুলতে’ এবং দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সময় শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারও শিক্ষাকে ‘সবচেয়ে বেশি’ গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার ‘প্রধান হাতিয়ার’ শিক্ষিত জাতি। শেখ হাসিনা তার শাসনামলে শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রণোদনা ও স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন এবং এসব পদক্ষেপের ফলেই পাসের হার বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া উচ্চ ও কারিগরি শিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি ও গবেষণার ওপর সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার তথ্য তুলে ধরেন।
পাস করাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আসন সঙ্কট হবে না Ñশিক্ষামন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : উচ্চ মাধ্যমিক পাসকরা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আসন সঙ্কট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেছেন, কোনো শিক্ষার্থী যদি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চায়, তবে আসনের জন্য তা বাধা হবে না। তবে শিক্ষার্থীরা সকলেই তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে না। এজন্য তাদের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এইচএসসি, আলিম ও সমমানের ফল প্রকাশের পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে এমন পাস করাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে কোনো দেশ নেই যেখানে সব থেকে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে সবাই ভর্তি হতে পারে। উচ্চ শিক্ষার দ্বার কোনো দেশেই আমাদের দেশের মত উন্মুক্ত নয়। এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পর কলেজগুলোতে এখনও সাত লাখ আসন ফাঁকা রয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত যে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অনেক আসন ফাঁকা থাকবে। আসনের জন্য কেউ ভর্তি হতে পারেনি- এমন কেউ থাকলে আমাদের দেখাবেন। এবার ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। গত বছর ১২টি বিষয়ের ২৩টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছিল। এইচএসসিতে (সাধারণ আট বোর্ডে) সারাদেশে এবার ৪৮ হাজার ৯৫০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, যাদের মধ্যে ২৮ হাজার ১১০ জনই ঢাকা বোর্ডের। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেশিরভাগ ভাল মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকায়, ঢাকার প্রতিষ্ঠানে ভাল শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। সেজন্য এ বোর্ড থেকে বেশি জিপিএ-৫ পাওয়া ‘স্বাভাবিক’। মাদরাসা ও কারিগরিতে প্রতি বছরই বেশি পাস করে, এটা নিয়ে আপনারাই (সাংবাদিক) প্রতি বছর বলেন। এবার তো খুশি হওয়ার কথা, একটু কমেছে বলেও মন্তব্য করেন নাহিদ।
শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, আশা করছিলাম আপনারা প্রশ্ন করবেন এত ফেল করল কেন... কোনো অভিভাবক ফেল করার জন্য তার সন্তানকে স্কুলে পাঠায় না। এত সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পর কোনো ছাত্রই ফেল করতে পারে না। শতভাগ পাস করা উচিত, শতভাগ পাস না করায় আমাদের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফলাফলে আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ