পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঐতিহ্যবাহী ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদরাসা (নেছারাবাদ মাদরাসা) এবার আলিম পরীক্ষার ফলাফলে সর্ব শীর্ষে। আলিম পরীক্ষায় ২৬৬ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে যাদের মধ্যে ১৫৭ জন এ+ এবং বাকিরা এ গ্রেডে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। এ+ এর হার ৫৯%। পীরে কামেল হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. প্রতিষ্ঠিত ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদরাসার এ সাফল্য বিগত দিনেরই ধারাবাহিকতা। এ মাদরাসা বরিশাল বিভাগের মধ্যে একমাত্র অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান। দাখিল-আলিমে বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ফাযিলে দুই বিষয়ে অনার্সসহ কামিলে হাদীস তাফসীর ও ফিকহ বিভাগ নিয়ে গড়ে ওঠা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ছাত্রের পদচারণায় মুখরিত বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করেছে। মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী ১৯৯৪ইং সনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গভর্নিং বডি, শিক্ষকম-লী ও অভিভাবকদের সহযোগিতায় মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা জগতে দেশসেরা প্রতিষ্ঠানসমূহের এক মাইল ফলকে পরিণত হয় এ মাদরাসা।
প্রতিষ্ঠানের এ সাফল্যের কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে সাবেক অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন, দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ক্লাস টেস্ট গ্রহণ, দুর্বল ছাত্রদের জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে ফিডব্যাক ক্লাস, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, আবাসিক ছাত্রদের জন্য ঘণ্টাওয়ারী পরিদর্শক ও টিউটর শিক্ষকের ব্যবস্থা এবং অভিভাবক সম্মেলনসহ অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনার কারণে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাসমূহে এ প্রতিষ্ঠান বরাবরই গৌরবোজ্জ্বল ফলাফল লাভ করছে।
বর্তমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী দিনে এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা আরও ভালো ফলাফল করবে বলে আমি আশাবাদী। তিনি এ ব্যাপারে শিক্ষক, অভিভাবক এবং সর্ব মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।