পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে বসতি স্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা তাদের এ বসতির জন্য ক্লাস রুমের পরিবেশ নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসরুমের সামনেই তাদের বসতি স্থাপনের ফলে ব্যাহত হয় স্বাভাবিক ও শৃঙ্খল শিক্ষা কার্যক্রম। এদিকে একাডেমিক ভবন ছাড়তে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নোটিশ দেয়া হলেও তারা ভবন ছাড়তে গড়িমসি করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বজলুর রহমান একাডেমিক ভবনের অর্থনীতি বিভাগের ক্লাসরুমের সামনে সিঁড়ির নিচে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন ভূগোল বিভাগের সেকশন অফিসার বাচ্চু মিয়া। রসায়ন বিভাগের ক্লাসরুমের পাশে সিঁড়ির নিচে বসতি গড়েছেন সামসুল আলম নামে ইতিহাস বিভাগের আরেক কর্মকর্তা। একই বিভাগের পাশে সিঁড়ি ও ক্লাসরুমের মাঝখানে নিজস্ব বাসা বানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) আবু ইমরান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) জাবেদ আলী খান ও বাংলা বিভাগের সেকশন অফিসার আক্তার হোসেন ও অফিস সহকারী নুর ইসলাম। এছাড়া ভাষা শহীদ রফিক ভবনের পেছনে দেয়াল ঘেষে ক্যাম্পাসের ড্রেন বন্ধ করে বসবাস করছে ভিসি দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জামাল হোসেন ও খোকন নামে দুই কর্মকর্তা।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, ক্লাস চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তারা কখনো লুঙ্গি পরে, কখনো দাঁত ব্রাশ করতে করতে অথবা সম্পূর্ণ অগোছালো আবস্থায় রুম থেকে বের হন। এমতাবস্থায় শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। বিশেষ করে নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এটা আরও অস্বস্তিকর। কর্মকর্তাদের একাডেমিক ভবনে বসতি ছাড়তে নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানের সাক্ষরিত সেই নির্দেশে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদেরকে একাডেমিক ভবন ছাড়তে বলা হয়।
এ বিষয়ে ভূগোল বিভাগের কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া বলেন, ক্যাম্পাসে যদি কোন কর্মকর্তা না থাকে তাহলে আমিও থাকব না। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের জন্য ডরমেটরি আছে কিন্তু আমাদের নেই। আমাকে যদি অন্য জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমি চলে যাব। আরেক কর্মকর্তা জাবেদ আলী খান বলেন, আমার বাবা আগে এখানে চাকরি করতেন। সেই সূত্রে ছোটবেলা থেকেই এখানে থেকে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে ডিসেম্বরে চলে যেতে নোটিশ দিয়েছে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে কোথায় স্থানান্তর হওয়া আমি ও আমার পরিবারের জন্য কঠিন। আমরা আরও কিছু বাড়তি সময়ের জন্য আবেদন করবো।
এদিকে কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কর্মচারীরাও ঘাঁটি গড়েছেন একাডেমিক ভবনগুলোতে। জানা যায়, ভূগোল বিভাগের সিঁড়ির নিচে থাকেন বাসচালক মনির। পরিসংখ্যান বিভাগের সিঁড়ির নিচে থাকেন হারুনুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও মো ফারুক। তারা ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের কর্মচারী। বজলুর রহমান ভবনের ২য় তলায় থাকেন কেয়ারটেকার ইসমাইল হোসেন, অ্যাম্বুলেন্স চালক তাজুল ইসলাম ও বাসচালক খোকন। একই চিত্র দেখা গেছে গণিত, প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগগুলোতে। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানের সাক্ষরিত এক নির্দেশে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে তাদেরকে একাডেমিক ভবন ছাড়তে বলা হয়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে তারা সেখানেই বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, একাডেমিক ভবন ছাড়তে কর্মকর্তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।