পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদালত চলাকালীন সময় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসের রেকর্ড রুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন লাগার সময় বিচারক এজলাসে ছিলেন।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ও পরবর্তীতে তা নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে পানিতে ভিজে আনুমানিক নিষ্পত্তি করা ৫ হাজার মামলার নথি নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর টিকাটুলিতে আগুনে সুইপার কলোনীর কমপক্ষে ১২টি ঘর ভস্মিভূত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে। গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় লাগা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে। আগুন সম্পুর্ণ নেভানো সম্ভব হয় বেলা ৩ টা ৩৩ মিনিটে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ করে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিচারকের আসনের পেছনে এজলাসের রেকর্ড রুম আগুন লাগে। আগুন লাগার পর বিচারক এজলাস থেকে নেমে যান। তিনি আরও বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিভিন্ন মামলার নথি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সরানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক মঈনুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট আসে। প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এসি বিস্ফোরণের ফলে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মাহফুজ বলেন, বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে আগুন লেগেছে। জজ কোর্টের একজন পেশকার জানিয়েছেন, এসি বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে। আমাদের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার পর এজলাস থেকে নথি সরানোর হয়।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, টিকাটুলির সুইপার কলোনীর আগুনে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪৭ লাখ টাকা ও উদ্ধারের পরিমান প্রায় এক কোটি টাকার সম্পদ। অগ্নিকান্ডের কারন জানা যায়নি। টিকাটুলি সিটিকর্পোরেশন মার্কেটের তিন তলায় টিনশেড ১২ টি ঘর আগুনে সম্পুর্ণ পুড়ে গেছে আরও কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগা ঘরের বাসিন্দা এক নারী জানান, তার ঘরে ব্যাগের মধ্যে জমানো প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিল। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করায় তারা টাকাগুলো অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেতে পেরেছেন।
সুইপার কলোনীর বাসিন্দা মিতারানী জানান, দুপুর খাবার শেষে বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন এসময় আগুনের খবর পান। তিনি দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। আগুনে তার বাসার সব সরঞ্জাম পুড়ে গেছে।
স্থানীয় মনা মিয়া জানান, জিঞ্জি কলোনীর ভিতরে আগুনের কারনে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে অকেন বড় ক্ষতি হয়ে যেতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।