Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গার্মেন্ট এক্সেসরিজ খাতে প্রণোদনা প্রস্তাব বাস্তবসম্মত-শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, গার্মেন্ট এক্সেসরিজ খাতে ক্যাশ ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) প্রদানের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত। গতকাল ‘বাংলাদেশে পরিবেশ-বান্ধব গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে গার্মেন্ট এক্সেসরিজ খাতে ক্যাশ ইনসেনটিভ প্রদানের প্রস্তাব করেন বিআইডিসি’র সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া গার্মেন্টসের ন্যায় গার্মেন্ট এক্সেসরিজ খাতকেও উন্নত করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, এক্সেসরিজের চাহিদা বেড়েছে কিন্তু গার্মেন্টসের তুলনায় এ খাত তত বড় নয়।
আর এ খাতের উন্নয়নে নিজেদের অর্থায়নে হলেও ল্যাবরেটরি ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা দরকার।
শিল্পমন্ত্রী জানান, এক সময় গার্মেন্ট এক্সেসরিজে বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর থাকলেও এখন রফতানি করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে এই খাতে রফতানি আয় হয়েছে প্রতি ডলার ৮০ টাকা দরে ৪৮ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা (৬ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার)। গার্মেন্ট খাতের ন্যায় গার্মেন্ট এক্সেসরিজ খাতও দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে অনেক আগ্রহী। যার ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া জানান, দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮০ ভাগ আসে গার্মেন্ট খাত থেকে। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্তে¡ও নিয়মিতভাবে এ রফতানি বাড়ছে। তবে এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে। অন্যথায় প্রতিযোগীরা বাজার দখল করে নেবে।
গার্মেন্টসের ন্যায় গার্মেন্ট এক্সেসরিজ খাতকেও উন্নত করতে হবে। এক্সেসরিজের চাহিদা বেড়েছে কিন্তু গার্মেন্টসের তুলনায় এ খাত তত বড় নয়। আর এ খাতের উন্নয়নে নিজেদের অর্থায়নে হলেও ল্যাবরেটরি ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা দরকার বলে জানান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করলেও এর পেছনে অনেক সমস্যা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থায়ন করে কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব উপকরণাদি দরকার তার ব্যবস্থা করে না। তাই আগামীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বায়বীয় প্রকল্পে অর্থায়ন নেয়া হবে না। বাংলাদেশ এখন নিজেই বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। পদ্মা সেতু প্রকল্প যার উদাহরণ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিআইডিসি’র সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ জানান, দেশে গার্মেন্টস বাড়াতে হলে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ খাতও বাড়াতে হবে। গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও গার্মেন্টস খাতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এই খাতের গুরুত্ব দেয়া উচিত। সরকার সহায়তা করলে এই খাতটি দ্রæত এগিয়ে যাবে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)-এর সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান। সেমিনারের আয়োজন করে বিজিএপিএমইএ। উল্লেখ্য, পোশাকে কাপড় ও সুতা ছাড়া রফতানি করতে যেসব উপকরণাদি ব্যবহার করা হয় তাকে সাধারণত গার্মেন্টস এক্সেসরিজ বলে। যেমনÑ বোতাম, কার্টন, ল্যাবেল, ইলাস্টিক, অফসেট প্রিন্টিং, হিট ট্রান্সফার ইত্যাদি

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গার্মেন্ট এক্সেসরিজ খাতে প্রণোদনা প্রস্তাব বাস্তবসম্মত-শিল্পমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ