Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভিন্নমত নিষ্পত্তিতে হবে কমিটি

নদী সংক্রান্ত মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন, সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বাড়ানোর জন্য মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ভিন্নমত নিষ্পত্তি করার জন্য কয়েকটি নতুন কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল রোববার সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। সভায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, অনুমোদিত মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে যেসব অবৈধ দখল আছে ইতোমধ্যে আমাদের নৌ-মন্ত্রণালয় দখলমুক্ত করেছে। উচ্ছেদকৃত স্থানগুলো সংরক্ষণ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা যেন দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেন। এরমধ্যে কোথায় কোথায় সমন্বয়হীনতা থাকে, সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় যে কাজগুলো করবে সেগুলো সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হবে। মাস্টার প্ল্যানে চাহিদা মোতাবেক সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ভিন্নমত নিষ্পত্তি করার জন্য কয়েকটি কমিটি করার কথা আলোচনা হয়েছে। আলোচনা করে আমরা কমিটি গঠন করে দেবো।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে যেসব খাল রয়েছে সেগুলো সংস্কার ও ওয়াকওয়ে তৈরি করে সম্ভাব্য যত সুযোগ আছে তা কাজে লাগানোর জন্য দুই-একটা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আরও কোথায় কোথায় প্রকল্প নেওয়া যায় তা নিয়ে কাজ করছি। ধানমন্ডি লেক নিজে পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা কী করে সংষ্কার করে দৃষ্টিনন্দন করতে পারি সেজন্য বেশকিছু লোককে ইনফরমালি ইনগেজ করেছি। সে কাজটিও করছি। বুড়িগঙ্গার নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য যমুনা নদীতে যে জায়গায় ড্রেজিং করা দরকার তা নিয়ে নৌ-সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তিনি নিশ্চিত করেছেন কাজটি দ্রæত করছেন। কাজটি করলে সেখানে পানি প্রবাহ বাড়বে। পানি প্রবাহ বাড়ালে বুড়িগঙ্গার নাব্যতা আরও বাড়বে। সলিড বর্জ্য দূষণ থেকে রক্ষায় উত্তর সিটি করপোরেশনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এজন্য সমন্বিতভাবে কাজ করছি। না হলে কাজের ফল বিলম্বিত হবে। আশা করি, দ্রæততার সঙ্গে কাজ শুরু করা যাবে। আর দক্ষিণের জন্য প্রকল্প নেওয়া হবে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের জন্য এ ধরনের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। চট্টগ্রামেও প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে যাতে বর্জ্য পুড়িয়ে বিদুৎ উপাদন করা যায়। তরল দূষণ থেকে রক্ষার জন্য ওয়াসার এমডিকে বলেছি। প্ল্যান্ট করার জন্য এগোচ্ছি। জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে দরপত্র করার জন্য কাজ চলছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, শিল্প-কারখানার তরল বর্জ্য নদীতে যায় সেজন্য ইটিপিগুলোর অপারেশন যেন নিশ্চিত থাকে। তাদের লোকবলের সমস্যা সমাধানের জন্য সভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাজ আরম্ভ হয়ে গেছে। ১০ বছরের মধ্যে শেষ হবে। প্রথম দফার কাজ সন্তোষজনক সময়ের মধ্যে শেষ হবে। বৃত্তাকার নৌ-পথ বাস্তবায়ন নিয়ে ১৩টি ব্রিজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ােযগুলো নৌ-পথে বাধার সৃষ্টি করছে সেগুলো রিভিউ করার জন্য আলোচনা হয়েছে। সেগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগের হলে আমরা বসবো এবং সেগুলোকে ভেঙে জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ করার চিন্তা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাস্টার-প্ল্যান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ