পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদায় নিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। গতকাল সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক-নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ কর্মদিবসে দায়িত্বপালন করেন তিনি। তিনি ৫০তম পরিচালক হিসাবে ২০১৭ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
এদিকে, গতকাল সকাল ১০টায় ঢামেক হাসপাতালে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমআরএ) এর কার্যালয়ে বিদায়ী অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, আমি হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে শুনতে থাকি হাসপাতালে জায়গা নেই, যন্ত্রপাতি নেই, জনবল নেই, এসব গল্প বলে বলে এই অগণিত মানুষের সমস্যার সমাধান হয় না। আমি আসার পর চেষ্টা করেছি আমাদের যা কিছু আছে তার মধ্যে আরও নতুন কিছু সংযোজন করে রোগীদের সেবার মান বাড়ানোর।
যোগদানের পর পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগকে উন্নত করা হয়েছে। এছাড়া নতুন নতুন বিভাগও চালু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশে করোনার শুরু থেকে মানুষের মনে আতঙ্ক ছিল। আমি পরিচালক হিসেবে সেটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং বন্ধের দিনও হাসপাতালে এসে চিকিৎসক, কর্মচারীদের সঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যেহেতু আমি ঢামেক পরিচালক আমার যদি করোনা পরীক্ষার পরে পজিটিভ রিপোর্ট আসতো তাহলে আইসোলেশনে থাকতে হতো, তখন হাসপাতাল চালাতো কে? এই কথা চিন্তা করে করোনা পরীক্ষা করাইনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতালের সকলকে নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আজ আমার হাসপাতালে শেষ দিন। আজ করোনা পরীক্ষা করিয়ে যাবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক, উপ পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ, সহকারী পরিচালক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন, ঢামেক নার্সদের নেতা মো. কামাল পাটুয়ারী ও বিএমআরএ এর সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু প্রমুখ।
হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমারও ছোট বড় কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অনেক বড় একটি হাসপাতাল। এরই মধ্যে আমি একদিন রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে এসেছিলাম, তখন দেখি হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সবখানেই সবাই রোগীদের সেবার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে। তিনি বিদায়ী পরিচালককে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্যারের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। স্যারে কাছ থেকে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তিনি সর্বশেষ বলেন, সাংবাদিকরা হলেন আয়না, আমি যা করছি তা আপনাদের দ্বারাই প্রকাশিত হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগঠনের পক্ষ থেকে সদ্য বিদায়ী ও নতুন পরিচালককে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।