পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর দোলাইপাড় চত্বরে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ওই গণসমাবেশে আসা লোকজনকে পথে পথে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক পর্যায়ে বাধা উপেক্ষা করেও গেন্ডারিয়া ধুপখোলা মাঠে জনতার ঢল নামতে দেখা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, বাড়তি নিরাপত্তার জন্য গণসমাবেশের আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে। এ কারণে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, রাজধানীর দোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি ভাস্কর্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে গতকাল দোলাইপাড় চত্বরে গণসমাবেশের ডাক দেয় হয়। কিন্তু পুলিশ দোলাইপাড় চত্বরে গণসমাবেশ করতে দেয়নি। পরবর্তীতে গেন্ডারিয়া ধূপখোলা মাঠে গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। গতকাল সকাল ১১টা থেকে ওই সমাবেশে লোকজন আসা শুরু করেন। সমাবেশে আসার পথে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
আয়োজকরা জানান, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের পরিবর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহ’র ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবিতে গণসমাবেশে আসা লোকজনকে বাধা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গতকাল জুমার নামাজের পর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গণসামবেশের অতিথি আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরীকেও সমাবেশ স্থানে আসতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে সমাবেশ স্থল থেকে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ পাহারায় আল্লামা আব্দুল হামিদ সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছান।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলবাকে বলেন, উনাকে সমাবেশে যেতে বাধা দেয়া হয়নি। উনার হুজুরের সাথে আমার কথা হয়েছে। তবে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘতে সে জন্য পুলিশ সর্তক ছিলে বলে জানান তিনি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রাবাড়ি, দোলাইপাড়, পোস্তাখোলা, গেন্ডারিয়ার প্রতিটি মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকি দোলাইপাড় এলাকায় পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এদিকে, দোলাইপাড়, পোস্তাখোলা ব্রিজ এলাকায় সমাবেশে আসা লোকজনকে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. সাজু মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গণসমাবেশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা টহল দিয়েছে। এছাড়াও সমাবেশের আশপাশ এলাকায় কাউকে বাধা দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।