পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি ৪৮শ’ হজযাত্রী কোটা বণ্টনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ধীরগতির কারণে ১১ হাজার হজযাত্রীর অতিরিক্ত কোটাপ্রাপ্তিসহ সকল হজ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার কার্যক্রম সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা সউদী থেকে অতিরিক্ত কোটাপ্রাপ্তির বিষয়টিকে উটকো ঝামেলা মনে করায় ৪৮শ’ কোটা বণ্টনে অহেতুক কালক্ষেপণ করছে যাতে অতিরিক্ত কোটা না নিতে হয়। ফলে সম্পূর্ণ হজ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। ধর্মমন্ত্রীর ডিও লেটারের পরিপ্রেক্ষিতে সউদী সরকার আরো ১১ হাজার নতুন হজযাত্রীর কোটা দিতে সম্মত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে হাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাবের সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও হজ অফিসের পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামালের চরম খামখেয়ালী, দায়িত্বহীনতার কারণে হজ ব্যবস্থাপনায় চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার অন্তরায় সৃষ্টি হচ্ছে। হাব থেকে এ ব্যাপারে তিনটি পত্র ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাবের সহ-সভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার, মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ, সাবেক সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মোজাম্মেল হোসেন কামাল, হাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কবির খান জামান, আটাব নেতা আব্দুল মতিন ভূইয়া, এম এন এইচ খাদেম দুলাল, মো. সোলাইমান, হাব ঢাকা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য মাওলানা মো. হানজালা, মো. আজিজুর রহমান পাটওয়ারী ও জিয়াউল হক মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে কতিপয় প্রস্তাব পেশ করা হয়, প্রস্তাবসমূহ হচ্ছে- সউদী সরকার কর্তৃক বিশেষ বিবেচনায় অনুমোদিত ১১ হাজার হজযাত্রীর নতুন কোটা অপেক্ষমাণ হজযাত্রীদের দ্রুত হজে প্রেরণের ব্যবস্থা করা, মোয়াজ্জেম সমস্যার দ্রুত সমাধান, এজেন্সির হাজী স্তানান্তরের বিষয়টি ও মাহরাম সমস্যা দ্রুত সমাধান, দ্রুত প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা, তিন মোয়াল্লেমের যাত্রী পরিবহনের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার, এছাড়া মন্ত্রণালয়, হজ অফিস, ও মক্কা-মদিনার সমন্বয়হীনতা দূর করা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৪৮শ’ হজযাত্রীর কোটা বণ্টন সম্পন্ন না হওয়ায় এবং এসব হজযাত্রীর মুয়াল্লেম ফি সউদী আরবে না পাঠানোর কারণে হজ এজেন্সিগুলো সউদী আরবে বাড়ি ভাড়াসহ হজ কার্যক্রম জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনগড়াভাবে সিটি চেক-ইন এর টাকা হজযাত্রীর প্রতি ৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে তাদের একাউন্টে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ ন্যায়-নীতির পরিপন্থী। সাউদিয়া এয়ারলাইন্স হজযাত্রীদের সিটি চেক-ইন করবে না এবং এজন্য কোনো টাকা নিবে না বলে মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছে। বিমান গতবছর হজযাত্রীদের সিটি চেক-ইন-এজন্য ১০ মার্কিন ডলার নিয়েছে। এবার সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে এবার ৫০ ডলার দাবি করছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কথিত সিটি চেক-ইন এর ৫০ ডলার নেয়ার নিদের্শনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায়, আইনগত পদক্ষেপসহ আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। হাব নেতৃবৃন্দ হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্কট নিরসনে অবিলম্বে বিমান মন্ত্রণালয় ধর্মমন্ত্রণালয় ও হাবের সমন্বয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বানের দাবি জানান। অন্যথায়, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেই দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।