পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেছেন, সারাদেশে অনুমোদিত এবং অননুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো জরুরি ভিত্তিতে তালিকা চেয়ে সেগুলো পরিদর্শন শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
গত ৯ অক্টোবর হাসপাতালের কর্মীদের ধস্তাধস্তিতে মারা যাওয়া সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনক, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। আমার একজন পুলিশ অফিসার এভাবে মারা যাবেন, এটা কারোরই কাম্য নয়। এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত, অনুতপ্ত। তিনি বলেন, হাসপাতাল নামে যেটা চলছিল সেটার কোনো অনুমোদন ছিল না। মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক চিকিৎসা, দুটো আলাদা জিনিস, আবার অনেক ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত। তারা বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনুমোদন ছিল না। কিন্তু মানসিক চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বন্ধ করে দিয়েছি, বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অননুমোদিত হাসপাতালে এরকম মৃত্যু বন্ধে কী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, জানতে চাওয়া হলে মহাপরিচালক বলেন, সবগুলো পরিদর্শন করতে আমরা একটা জরুরি মিটিং করেছি। আমরা একটা কমিটি করেছি। প্রত্যেক এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে প্রশাসন। কারণ, আমরা একা এটা করতে পারব না, এটার সঙ্গে প্রশাসন লাগবে, পুলিশের সাহায্য লাগবে, আইন প্রয়োগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সাহায্য লাগবে। তাদেরকে নিয়ে আমরা এটা করতে পারব। আশা করছি এ মাসের মধ্যে শুরু করতে পারব।
মাইন্ড এইডে যাওয়ার আগে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাননি, সে জায়গায় দায় আছে কি না, এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, এটা সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য নেই। যদি এটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এটা গুরুতর অন্যায় হয়েছে। এটার অবশ্যই বিচার হবে।
আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, লাইসেন্সের বাইরে অনেক হাসপাতাল রয়েছে, এগুলোর হিসাব পেতে গত পরশু দিন ইমার্জেন্সি মিটিংয়ে প্রত্যেক বিভাগীয় পরিচালককে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে (বৃহস্পতিবার) তাদের এলাকার মোট লাইসেন্স এবং আন-লাইসেন্সের লিস্ট আমাদেরকে দেবেন।
সারাদেশে লাইসেন্সসহ মোট ৬ হাজার ৬৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে হাসপাতাল ২ হাজার ১৩০টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ হাজার ৮৫৬টি, ব্লাড ব্যাংক ৮১টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।