পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বি-আমতলী স্বরসতীপুর সীমান্তে অভিযানে যাওয়া ২ র্যাব সদস্যকে আটক করে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ’র কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে ওই সীমান্তের মেইন পিলার ৩০৭, সাব পিলার-১ এর কাছ থেকে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার গভীর তাদেরকে ফেরত দেয় বিএসএফ।
আটককৃতরা হলেন- র্যাব-১৩ দিনাজপুর সিপিসি-১ এর সহ-অধিনায়ক (এএসপি) শ্যামল চং ও কনস্টেবল আবু বকর সিদ্দিক। স্থানীয়রা জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তি বি-আমতলী স্বরসতীপুর সীমান্তের সমজিয়া মন্ডলপাড়া এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেলযোগে সাদা পোষাকে অভিযানে যায় ৫ জন র্যাব সদস্য। দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি ভাগে ২ জন এবং একটি ভাগে ৩ জন র্যাাব সদস্য ভিন্নভাবে অভিযান শুরু করে। কিন্তু অজ্ঞতাবশত ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে যায় তারা। সেখানে ৩ জন র্যাব সদস্য ভারতীয় নাগরিক ইসরাফিলের ছেলে মিলনকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। এ সময় সে চিৎকার শুরু করলে মোশাররফ মাস্টার ও হিরোসহ কয়েকজন মিলে মিলনকে ছিনিয়ে নিয়ে র্যাাব সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এ সময় সেখানে থাকা ৩ জন র্যাব সদস্য নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এক রাউন্ড গুলি করে কৌশলে পালিয়ে আসে।
গুলির শব্দ শুনে অপর প্রান্তে থাকা ২ জন র্যাব সদস্য তাদের সাথীদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সদস্যরা হাজির হলে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ওই ২ র্যাব সদস্যকে আটক করে তাদের ভারতীয় সমজিয়া ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে বিজিবি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ’র কাছে পত্র প্রেরণ করে। রাত সাড়ে নটার দিকে ওই সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, পরে দুই সদস্যকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ নং পুনট্টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আব্দুল ওহাব জানান, র্যাব সদস্যরা সেখানে ক্রেতা সেজে মাদক বিরোধী অভিযানে যায়। সেখানে স্বরসতীপুর ভারতীয় অংশে মাদক ব্যবসায়ী মিলনকে হাতকড়া পড়ালে চিৎকার করে। এ সময় এক রাউন্ড গুলি করে র্যাব সদস্যরা পালিয়ে আসে। কিন্তু একই অভিযানে অন্য স্থানে থাকা ২ জন র্যাব সদস্য সেখানে গেলে তাদেরকে আটক করে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে ২৯ বিজিবি’র অধিনায়ক শরিফ উল্লাহ আবেদের মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অপরদিকে র্যাব-১৩ দিনাজপুর সিপিসি-১ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্ণেল অব্দুল্লাহ আল
মামুনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি। ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য ওই এলাকায় যাওয়া হলেও ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি বিজিবি। এ সময় বিজিবি’র বি-আমতলী ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে চাওয়া হলে অনুমতি নেই বলে ক্যাম্পেও প্রবেশ করতে দেয়নি বিজিবি’র দায়িত্বরত সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।