পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপপুরে পারমাণবিক প্রকল্পে আবাসন নির্মাণ
মুরশাদ সুবহানী/এসএম রাজা, পাবনা থেকে : পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রিন সিটি আবাসনের ২৮টি ২০তলা ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজের শুরুতেই এলাকার বেশ কিছুসংখ্যক বাড়িঘরে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ফাটলের ফলে ওইসব বাড়িঘরের মালিক ছাড়াও অন্যান্য বাসিন্দার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সূত্র মতে, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়াড় সাহাপুরের নতুনহাট এলাকায় প্রকল্পের নিজস্ব জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ২৮টি ২০তলা ভবন। ভবন নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ করার ফলে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িঘরের দেয়াল ও ছাদের পলেস্তারায় এবং মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বাড়িঘরের মালিকরা। পাবনা জেলা প্রশাসনের মাসিক সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান, উপসহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ফাটল এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আজ বুধবার পাবনা গণর্পূত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান ইনকিলাবের পাবনা প্রতিনিধিকে মোবাইলে জানান, যে ব্লিডিংয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে সেটি প্রকৌশলগতভাবে অনুমোদিত নকশায় করা নয়। তাদের দফতর প্রথম দিকে নন ভাইব্রেটর দিয়ে পাইলিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত বহুতল ভবনে অনেক নিচে পাইলিং করার জন্য এটি কার্যকর না হওয়ায় ভাইব্রেটর মেশিন পাইলিংয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পাশ দিয়ে এখন একটি ট্রেঞ্চ (বাংকার) করা হয়েছে যাতে ঝাঁকুনি কম লাগে। তারপরও তিনি তার প্রকৌশলী ও ভবন নির্মাণের সম্পৃক্তদের সাবধানতার সাথে কাজ করার কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা ও রাজশাহী থেকে একটি টিম আসবে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় তারা যেভাবে বলবেন সেইভাবে কাজ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে বিষয়ে বলেন, আইনত, ব্লিডিং কোড মেনে যেহেতু ওইসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়নি, তারা ক্ষতিপূরণ কীভাবে পাবেন। তারপরও তিনি বলেছেন, চেষ্টা করা হবে ঘরবাড়ি ঠিক করা যায় কিনা মানবিকভাবে এটি দেখবেন।
এ বিষয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শওকত আকবর সাংবাদিকদের বলেন, ওই এলাকায় খুব বেশি বাড়িঘর নেই। তার পরও ঠিকাদারদের বলা আছে, তাদের কার্যক্রমে যেন স্থানীয়দের কোনো সমস্যা না হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস ধরে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ৩টি ভবনের মধ্যে ২টি ভবনের পাইলিংয়ের কাজ করছে সাজিন এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, অন্যটির কাজ করছে মজিদ সন্স কনস্ট্র্রাকশন লি.। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, তার বাড়ির দেয়াল, ছাদের পলেস্তারা ও মেঝের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন এ ফাটলের পরিধি বাড়ছে।
আবদুস সালামসহ এলাকার বাসিন্দারা গণপূর্ত অধিদফতর রাজশাহী, ঢাকা, পাবনা জেলা প্রশাসক, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে প্রতিকার চেয়ে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প প্রকৌশলী আলম হোসেন জনি জানান, প্রতিটি পিলারের দৈর্ঘ্য ৬০ ফুট ও ওজন সাত টন। এ ধরনের প্রায় এক হাজার পিলার পাইলিং করে মাটির ৬০ ফুট নিচ পর্যন্ত পুঁতে ফেলা হবে। এরপর মূল ভবনের কাজ শুরু হবে। প্রতিটি ২০ তলা ভবনের জন্য ৩১১টি করে পিলার পুঁততে হবে। এ জন্য ৩৭০ টন ওজনের হাইড্রোলিক ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০ জুলাই থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাতটি পিলার পোঁতা হয়েছে। অন্য সাইটে হ্যামার পাইলিং করার কারণে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হচ্ছে। রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।