Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আড়াইহাজারে হায় হায় সমিতি

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের একটি সমবায় সমিতি গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। জমানো টাকা হারিয়ে হাজারো গ্রাহক পথে বসার উপক্রম হয়েছে। কারো চোখে ঘুম নেই। চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছে। কোথায়ও গিয়ে সহযোগিতা পাচ্ছে না। এতে আরো হতাশ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় গতকাল ভুক্তভোগীরা থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। 

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী সেলিনা আক্তার বেবী জানান, ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দী গ্রামের জব্বার হাজীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম তার নিজস্ব কিছু লোকজন নিয়ে নিজ বাড়িতে গণপ্রত্যাশা নামে সমিতি খুলে ব্যবসা শুরু করেন। তাদের গ্রাহক সংখ্যা হয় ২ হাজার ১শ’। তারা প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ৩ লাখ থেকে শুরু করে ১২-১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সমিতিতে জমা রাখেন। এর মধ্যে তার নিজের রয়েছে ৬ লাখ টাকা।
তিনি আরো জানান, গ্রাহকদেরকে প্রতি লাখে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে লাভ দেয়ার কথা ছিল। এমতাবস্থায় করোনা শুরু হওয়ার পর থেকেই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সুফিয়া বেগম, প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফজলুল হক ওরফে ফজুল্লাহ, ম্যানেজার সফিউল্লাহ সুমন, সচিব ও পরিচালক মুক্তি আক্তার এবং ক্যাশিয়ার রাশেদ রাজন অফিসটি গুটিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু তারা বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই অফিস কর্তৃপক্ষ ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অফিসে সব কিছু আগোছালোভাবে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। তাদের সকল মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় সমিতির ২ হাজার ১শ’ সদস্যের মাথায় হাত পড়েছে। কোনভাবেই অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী সেলিনা আক্তার বেবী, সাদিয়া আক্তারসহ একাধিক সদস্য জানান, কর্তৃপক্ষের সবাই কালাপাহাড়িয়ার ইউনিয়নের বাসিন্দা। টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তারা এখন পথে বসেছেন। ৩০ অক্টোবর থেকে অফিস বন্ধ থাকলেও মূলত তারা ২-৩ দিন আগে বিষয়টি টের পান। ফলে তারা থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় অফিসার নাহিদা নাছরিন বলেন, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তাদের কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে অভিযুক্তদের সকল মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।



 

Show all comments
  • Jack Ali ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১১:২৩ এএম says : 0
    No Islam no peace, no justice.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হায় হায় সমিতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ