পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা : জয়পুরহাটে ধারকী মন্ডলপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর আব্দুল মতিন হত্যা মামলায় সাত জনের মৃত্যুদ- ও একজনের যাবজ্জীবন কারদ- দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গতকাল বুধবার দুপরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামীরা হলোÑধারকী বড়াইল গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের প্রামানিক এর ছেলে ওয়াজেদ আলী তোরাফ (৪৫) ও তার ছেলে আনু (২০) এবং আবু হাসান দিলীপ (২৫), মোবারক আলী মোল্লার ছেলে চৈতুন মোল্লা (৪৩), ছাফাদুল (৩৮), আব্দুল কাদের প্রামাণিকের ছেলে মছির উদ্দীন(৪৮) ও মোক্তার আলীর ছেলে মন্টু মিয়া (৩০) এবং যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামি হলো একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মাহবুব আলম বাবু (২৫)। এদের মধ্যে মন্টু মিয়া পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সকালে ধারকী ম-লপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীন ম-লের ছেলে আব্দুল মতিন মোটরসাইকেল যোগে তার মেয়ের আকিকার দাওয়াত দিতে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে একই গ্রামের বড়াইল প্রামাণিক পাড়ায় তার পথ রোধ করে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ব্যাপারে ওই দিনই নিহতের বড় ভাই শাহা আলম বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ এ ৮ জনের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেন। এদিকে এ মামলার একজন আসামী মামলা চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেন। এ মামলায় ১৬ জন স্বাক্ষী ও ১০ জন নিরীক্ষকের স্বাক্ষীতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এদিকে এই রায়ে অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ ম-লসহ সরকার পক্ষের অন্য আইনজীবীরা বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
মাগুরায় রউফ হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
মাগুরা জেলা সংবাদদাতা : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামের চাঞ্চল্যকর আব্দুর রউফ হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ মাহফুজা বেগম গতকাল বুধবার এ রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্তরা হচ্ছেন বরালিদহ গ্রামের সুরত আলী, মোহন, পারভেজ ও হাসেম। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, পূর্ববিরোধের জের ধরে গত ২০১১ সালের ১৪ জুলাই একই গ্রামের আহাদ মোল্লার ছেলে আব্দুর রউফকে কুপিয়ে জখম করে। তাকে চিকিৎসা জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়। নিহত রউফের ছেলে রিপন মোল্লা বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পলিশ তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত ৪ জনকে দোষী সাব্যস্থ করে এ রায় প্রদান করেণ। বাকি ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাশ দেন আদালত। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে পারভেজ পলাতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।