পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের’ মিছিল ও সমাবেশ থেকে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, দল, আলেম-উলামা ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর উসকানিমূলক সন্ত্রাসী স্লােগান দেয়া হয়েছে। তারা উল্লাস নৃত্যে ও বেপরোয়া শরীরি ভাষায় জ্বালাও-পোড়াও, জবাই করো, জুতামারো স্লােগান দিয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটিতে এমন নগ্ন উস্কানি নজিরবিহীন।
এক বিবৃতিতে তিনি প্রশ্ন তুলে আরো বলেন, এসব কি ভদ্র, সভ্য ও সহনশীলতার শ্লোগান, সম্প্রীতির শ্লোগান, শান্তির শ্লোগান? আমরা তাদের এমন নগ্ন উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, তারা যেভাবে ভারতে ইসলামবিদ্বেষী উগ্র হিন্দুত্ববাদের ব্র্যান্ডেড স্লােগান ‘জয় শ্রীরাম’ বলে ‘কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ স্লােগান দিল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে জিজ্ঞাসা, তারা কি এর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা হিন্দু ধর্মযুদ্ধ বা ক্রুসেড শুরুর আহবান জানাতে এটা করেছিল?
জমিয়ত মহাসচিব সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, এগুলো কি জঙ্গি আচরণ নয়? এসবের বিরুদ্ধে কি দেশে কোন আইন নাই? আমরা কি একটি আইন, কানুনহীন রাষ্ট্রে বসবাস করি? এমন উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কি স্বাধীন বাংলাদেশ নির্বিঘ্নে চলতে দেয়া যায়? সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্টে নগ্ন উস্কানিদাতা এসব হিন্দু সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকার ও প্রশাসন নিশ্চুপ কেন?
আল্লামা কাসেমী বলেন, দেশে বিরাজমা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে কারা আধিপত্য কায়েমের সুযোগ করতে এসব করাচ্ছে, দেশবাসী সহজেই বুঝতে পারছে।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, এই বিষয়গুলো বিবেচনার মধ্যে রেখে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাম ও কমিউনিস্টদের উস্কানি এড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা অঊট রেখে চলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে সরকারের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উস্কানিতে জড়িত এই সকল সংগঠনসমূহের সন্ত্রাসী, উগ্র ও জঙ্গী আচরণের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।