পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : ‘দ্যাখেন তো এই টেহাডা কি জাল? কয়দিন হইলো লোকের কাছে দিলেই কয়- এইডা নাকি জাল টেহা।’ উপরোক্ত কথাগুলো বললেন প্রতিবেদকের কাছে এক হাজার টাকার নোট দিয়ে রূপসা ট্রাফিক মোড়ের পান-সিগারেটের দোকানী নূরজাহান বেগম। তিনি জানেনই না- কিভাবে, কার কাছ থেকে একটি এক হাজার টাকার জাল নোট এসে পড়েছে তার হাতে। এখন আর বিনিময় করতে পারছেন না ওই হতদরিদ্র গৃহপরিচারিকা।
আসন্ন ঈদুল আযহা ও শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্র। কোরবানীর বাজারকে টার্গেট করে জাল নোট ব্যবসায়ীরা শুরু করেছে নতুন তৎপরতা। মাছবাজার থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার, শপিংমল, বাস, লঞ্চ স্টেশন সর্বত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে জাল নোট। প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। গত ১৫ আগস্ট দেড় লাখ টাকার জাল নোটসহ মোঃ একরামুল (৩৪) কে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সে বাগেরহাট জেলার মংলার উত্তরবিদ্যার বাওন এলাকার ইয়াকুব সর্দারের ছেলে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) এম কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জাল টাকার একটি চক্র বিশেষ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রেফতারকৃত একরামুল জিজ্ঞাসাবাদে ব্যাপক তথ্য দিয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে, আরো জাল টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তার সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকৃত টাকার মধ্যে ৫০০ টাকার নোট ৩০০ পিস; প্রত্যেকটিতে একই নম্বর (ক খ ২১৫৫৫১০)। উৎসবকে সামনে রেখে জাল নোটের সাথে জড়িতরা তৎপর হয়ে উঠেছে। লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে জাল টাকার নোটের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার একাধিক কর্মকর্তা জানান, জাল নোট প্রতিরোধ করার জন্য দু’মাস পরপর সভা আহ্বান করা হয়। আকস্মিকভাবে এ অঞ্চলের ৩০টি ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন করে জাল নোট পাওয়া যায়নি। জাল নোট প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বেশ তৎপর। কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতারণার কবল থেকে রক্ষায় জাল নোট শনাক্তকরণে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জাল নোটের কারখানা ঃ জড়িতদের ভাষ্য মোতাবেক রাজধানীর সন্নিকটে কেরানীগঞ্জ, সাভার, রূপগঞ্জ, গাজীপুর, যশোরের শার্শা, চৌগাছা, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, খুলনা নগরীর দক্ষিণপ্রান্তে লবণচরায় জাল টাকার কারখানা রয়েছে। এই চক্র ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে। চক্রের সাথে জড়িতরা স্ক্যানার ও প্রিন্টিং মেশিন ব্যবহার করে। এ অঞ্চলে ১৫টি জাল নোট চক্রের সদস্য সক্রিয় বলে পুলিশের সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।