পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিগত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) সামগ্রিক আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে একই সময়ে রফতানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৪২৪ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। এ হিসেবে, আলোচ্য সময়ে আমদানি ব্যয় বাড়ার তুলনায় রফতানি আয় বৃদ্ধির হার বেশি। অর্থাৎ সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৩ হাজার ৪২৪ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বিগত অর্থবছরে পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতি ৫৪৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় ১৪৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার বা ২১ দশমিক ৪২ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গেছে।
আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রফতানি আয় কম হওয়ায় প্রতি বছরই বাংলাদেশে বাণিজ্য ঘাটতি থাকে। তবে ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমান্বয়ে কমেছে। এরপর গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা কিছুটা বাড়লেও সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি অনেক কমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছর আমদানি খাতে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৭৬৬ কোটি ৬২ লাখ ডলার। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সামগ্রিম আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে আমদানি ব্যয় ২০৪ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার বেড়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি।
আরও জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের বেশ কিছু খাতে আমদানি ব্যয় কমেছে। এর মধ্যে খাদ্য পণ্য আমদানি খাতের ব্যয় ৩৭ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং জ্বালানি তেল আমদানি খাতের ব্যয় ৩৫ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে খাদ্য পণ্য (চাল ও গম) আমদানির জন্য ১০৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৪০ শতাংশ কম। একই সময়ে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য মোট ২১৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খুলেছেন আমদানিকারকরা, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে ইপিবির তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সামগ্রিক পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশের আয় হয়েছিল ৩ হাজার ১২০ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রফতানি আয় ৩ হাজার ৪২৪ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের রফতানি ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বাড়ার তুলনায় রফতানি আয় বেশি বাড়ায় বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমে এসেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর শেষে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর পরিবর্তে সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৪৭ কোটি ৩২ লাখ ডলারে। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ১৪৯ কোটি ১৮ লাখ ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।