পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদকে চাকরিচ্যুত করেছে। এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা আন্দোলন-কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরই মধ্যে অপারেটরটি আরও ১৮২জন কর্মীকে চাকরিচ্যুতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই তথ্য দাবি করে অবিলম্বে গ্রামীণফোনকে এ ধরণের হটকারী সিদ্ধান্ত পরিহারের আহবান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামীণফোন অনৈতিকভাবে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করছে। পাশাপাশি সারাদেশে সার্ভিস সেন্টার বন্ধ ও গ্রাহক পর্যায়ে তাদের সেবার মানহীনতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, গ্রামীণফোনের জবাবদিহিতা না থাকা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালনা পরিষদ প্রায়ই তার স্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে শ্রম আইন ২০০৬ এর পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। পূর্বেও এ ধরনের কার্যক্রমের নজির আমরা সকলেই দেখেছি। যার সর্বশেষ শিকার মিয়া মাসুদ। একই সাথে ইউনিয়ন ও ইউনিয়নের সদস্যদের সাথে ডিসক্রিমিনেশন করে এন্টি ট্রেড ইউনিয়ন ডিস্ক্রিমিনেশন করেছে, যা একটি দন্ডনীয় অপরাধ। সংবাদ সম্মেলনে মিয়া মাসুদকে চাকরিতে পুনর্বহালের আহবান জানানো হয়।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠানটির এহেন কর্মকান্ড সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভিতর অস্বস্তি তৈরি করেছে, একই সাথে অন্য অপারেটরদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোবল দুর্বল করেছে। যখন একটি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল কে যখন-তখন বহিষ্কার করা যায় তাহলে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অস্বস্তি দূর করতে না পারলে গ্রাহক সেবার মান নিম্নমুখী হবে এটাই স্বাভাবিক। এটি গ্রামীণফোনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এখন তা আর অভ্যন্তরীণ বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইতোমধ্যে ইউনি গ্লােবাল ইউনিয়ন (আইসিডিএস) ও ইউনিয়ন নেপাল (ইউএনআই) থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি সমাধান না হলে আন্তর্জাতিক মহলে শ্রমিক অধিকার নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অন্য হবার সম্ভাবনা দেখা দেবে।
গ্রামীণফোনের সেবার মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে অভিযোগ করে গ্রাহক সংগঠনের সভাপতি বলেন, গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কলড্রপ, মিউট কল, ইন্টারনেট প্যাকেজের নামে প্রতারণা, গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বেই একজনের সিম অন্যজনের কাছে বিক্রি করা, ভ্যাশ অপারেটরের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের অফার দিয়ে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেয়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গত বছর বিটিআরসি’তে ৫ হাজার ৪৩৪টি অভিযোগ জমা পড়েছিল সব অপারেটরের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে কেবল গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়েছিল প্রায় ২ হাজার। ভোক্তা অধিদপ্তরে এখনো জমা পড়ে রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার অভিযোগ। কিন্তু কি কারণে ও কিসের ক্ষমতাবলে এই প্রতিষ্ঠানটি দিনের পর দিন গ্রাহকদের দুর্ভোগে ফেললেও কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না তা আজ জাতির কাছে প্রশ্ন।
তিনি বলেন, করোনার অজুহাতে ৩য় পক্ষের মাধ্যমে স্বল্প খরচে অদক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে গ্রাহক সেবা প্রদানের কারণেই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে জিপি। ভ্যালু এডেড সার্ভিস (ভ্যাস) অপারেটর দিয়ে অনৈতিক সেবা প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যা ইতোমধ্যে বিটিআরসির পর্যবেক্ষণেই উঠে এসেছে। এতে করে জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি ও গ্রাহকসেবার মান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অদক্ষ ভেন্ডরের মাধ্যমে সিম ক্রয় ও নিবন্ধনে ভুল, সিম জালিয়াতি, গ্রাহকদের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্যের অপব্যহার হতে পারে। অন্য অপারেটরগুলোও যদি গ্রামীণফোনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাহলে দেশের টেলিকম খাতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।