পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ব্যক্তি ও দলীয় ক্ষুদ্র স্বার্থে রাষ্ট্রকে জিম্মি করে সরকার জাতীয় স্বার্থবিরোধী এক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিাতির সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে এক সর্বনাশা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আইনগত ও নৈতিকভাবে ধ্বংসের শেষ সীমায় নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে। গতকাল ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ‘সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও শামসুদ্দিন পেয়ারা বক্তব্য রাখেন।
আ স ম রব বলেন, রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও পুননির্মাণসহ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি রাষ্ট্র মেরামতের প্রয়োজনে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। কোন একক বা দলীয় সরকার বিদ্যমান দুর্বৃত্তূঁর্ণ রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে পারবেনা। সেজন্য রাজনৈতিক দল, সমাজ শক্তি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, মেধা ও প্রযুক্তির অধিকারী অংশীজনদের কার্যকর জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় গভীর সংকটে মৌলিক করণীয় উপেক্ষা করে শুধুমাত্র রাষ্ট্রক্ষমতা দখল কোন লক্ষ্য হতে পারে না। উপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল সংস্কার, নিপীড়নমূলক আইন বাতিল, দুর্নীতি প্রতিরোধ, সর্বোপরি স্বাধীন দেশের উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামত করা এই মুহূর্তের মৌলিক কর্তব্য।
রব বলেন ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫ সালেও রাষ্ট্রীয় চরম অনিশ্চয়তা, বিশৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক শূন্যতার সংকট নিরসন , উপনিবেশিক ধাঁচের প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর আমূল সংস্কারের দাবিতে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করে আমরা ‘জাতীয় সরকারের’ দাবি উত্থাপন করে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলাম। কিন্তু এ মৌলিক দাবি উপেক্ষা করায় পরবর্তীতে ক্রমাগত রাষ্ট্রীয় সংকট আরো গভীরতর হয়েছে।
সভায় কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা তথা শোষণ মুক্তির লড়াইকে বেগবান করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা রেখে যেতে হবে।
সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় সংঘটিত হয়েছিল ৭ নভেম্বর। এ রাজনীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। শামসুদ্দিন আহমদ পেয়ারা ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ঘটনাবলীর স্মৃতিচারণ করেন।
সভায় দলের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সা কা ম আনিসুর রহমান খান, মোঃ সিরাজ মিয়া, বোরহান উদ্দিন রোমান, ব্যারিস্টার ফারাহ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।