Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৩ ডাকাত গ্রেফতার

প্রবাসীকে গুলি করে ডাকাতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকার আমিনবাজারে এক ইতালি প্রবাসীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। নিজেদের ডাকাত দলকে তারা কোম্পানি নামে ডাকে। নগদ টাকা ও ব্যাংককেন্দ্রিক ডাকাতির জন্য কোম্পানি’র রয়েছে নিজস্ব সোর্স বা তথ্যদাতা। তাদের দেয়া তথ্যেই ডাকাতির দিনক্ষণ নির্ধারিত হতো। ডাকাতি শেষে নিরাপদ পথে সশস্ত্র এই ডাকাতরা নিজস্ব গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে নির্বিঘেœ পালিয়ে যেত। শুধু তাই নয়, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিকে ফাঁকি দিতে নিজেদের যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করত নির্দিষ্ট মোবাইল ফোন ও নম্বর। ডাকাতি শেষে তাদের মোবাইল ফোন, সিমকার্ড এবং ডাকাতির সময় ব্যবহৃত জামা-কাপড় পুড়িয়ে ফেলা হতো।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

তিনি জানান, সম্প্রতি ঢাকার সাভারের আমিনবাজারে এক ইতালি প্রবাসীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে অর্থলুটের ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমান (৩৮), নাসির (৩৮) ও আবদুল বারেক সিকদারকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার, দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১২ রাউন্ড গুলি, একটি ছুরি, দুইটি লোহার পাইপ ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
মোজাম্মেল হক জানান, গত ২৮ অক্টোবর সকালে ইতালি প্রবাসী মো. আমানুল্লাহ (৪০) সস্ত্রীক আমিনবাজারের একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে ভাকুর্তা লোহার ব্রিজের কাছে ডাকাতদের কবলে পড়েন। তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকারে এসে ডাকাতরা এই দম্পতিকে ঘিরে ধরে। তাদের গাড়ি থামিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনার পর সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটিকে ধরতে মাঠে নামে র‌্যাব-৪। তদন্তের শুরু থেকেই ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ক্যাপ পরা এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। এরই সূত্র ধরে গত শুক্রবার রাতে ডাকাত দলের ওই তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-৪ অধিনায়ক বলেন, এই ডাকাত দলের প্রত্যেক সদস্যের আলাদা ছদ্মনাম রয়েছে। দলটির অন্যতম সদস্য ব্যাংকে সেদিন ক্যাপ পরা অবস্থায় ছিল। আটক বারেক সিকদার ডাকাতদের অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের টাকা বহন করার কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালক। তারা ডাকাতির সময় নির্দিষ্ট মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করতো। ডাকাতি শেষে দলটির সদস্যরা আগে থেকে ঠিক করে রাখা নির্জন জায়গায় দেখা করে সিম কার্ড ও ব্যবহৃত জামা-কাপড় পুড়িয়ে ফেলতো। এরপর কয়েকদিনের জন্য সবাই গা ঢাকা দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করত। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে মূলহোতার পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন কোনো জায়গায় ডাকাতি করতো তারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তিনজন জানায়, ব্যাংকের টাকা উত্তোলনকারীদের দিকে তীক্ষè নজর রেখে বাইরে মোটরসাইকেলে ওঁৎ পেতে থাকা নাসিরসহ তার অন্যান্য সহযোগীদেরকে তথ্যটি জানায়।
র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির প্রস্তুতি ধারায় দু’টি মামলা করা হয়েছে। ডাকাত চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রবাসী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ