পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও ছুটির দিনে রাজধানীর মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল সকাল থেকেই জাতীয় চিড়িয়াখানার টিকিট কাউন্টারগুলোতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের দীর্ঘলাইন।
দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি শিশুদের একটু বিনোদন দিতে ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে তারা এসেছেন চিড়িয়াখানায়। তবে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দর্শনার্থীরা চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছেন। একইসঙ্গে প্রবেশের সময় কোনো দর্শনার্থীদের খাদ্যসামগ্রী বিশেষ করে বাদাম, চিপস অন্যান্য পলিযুক্ত খাবার নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। চিড়িয়াখানার পরিবেশের কথা চিন্তা করেই এমনটি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাসাবো থেকে ঘুরতে আসা মাহাবুবুর রহমান বলেন, সকাল সাকালেই চিড়িয়াখানায় এসেছি। বছরখানেক আগেও আমি একবার এসেছিলাম। সে সময়ের চেয়ে এখনকার পরিবেশ অনেক ভালো। প্রবেশের সময় সঙ্গে বাদাম নিয়েছিলাম কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি। তবে পানি নিয়ে প্রবেশ করেছি।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও বের হয়নি। একটু বিনোদন দিতে ঘরবন্দি শিশুদের নিয়ে শনিবার চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এলাম বলে জানালেন শাহজাহান। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি বলেন, প্রায় সাত থেকে আট মাস শিশুরা ঘরবন্দি। স্কুল বন্ধ, আত্মীয়-স্বজনের বাসায়ও তেমন যাওয়া হয় না। তাই দুই সন্তান ও পরিবারকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এলাম। অনেক দিন পর শিশুরা ঘর থেকে বের হয়েছে, ভালোই আনন্দ পাচ্ছে।
করোনার কারণে দীর্ঘ সাত মাস ১০ দিন পর বন্ধ থাকার পর চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত হওয়ায় দর্শনার্থীদের রেকর্ড পরিমাণ ভিড় হচ্ছে বলে জানালেন চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. আব্দুল লতিফ।
তিনি বলেন, প্রায় দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস করোনার কারণে জাতীয় চিড়িয়াখানা বন্ধ ছিল। এই দীর্ঘসময় বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই এটি উন্মুক্ত হওয়ার পর রেকর্ড পরিমাণ দর্শনার্থী প্রতিদিন চিড়িয়াখানায় ভিড় করছেন।
কিউরেটর বলেন, এই ভিড়ের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে বলছি। একইসঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য ১২টি স্থানে ব্যবস্থা করেছি এবং মাইকে ঘোষণা করছি ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি, নো মাস্ক নো টিকিট’। শুধু তাই নয় আমি নিজেও ঘুরে দেখেছি ৯৫ শতাংশ মানুষের মুখের মাস্ক রয়েছে এবং বাকি ৫ শতাংশ মানুষেরও হাতে ও পকেটে মাস্ক রয়েছে। তবে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।