পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হক স্মরণে রাজধানী জুরাইন (বালুরমাঠ) পোস্তগোলা অবস্থিত আদ্-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক হাসপাতালে মাসব্যাপী বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন সেবাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবার উদ্বোধন করা হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ সেবা কার্যক্রম চলবে। প্রথম দিনেই শতাধিক রোগী সেবা গ্রহন করেন। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চোখ পরীক্ষা ও অপারেশনের জন্য রোগী বাছাই করা হবে। বাছাইকৃত রোগীদের ভর্তি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশন সংক্রান্ত ওষধপথ্য ও থাকা খাওয়ার খরচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
আদ্-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, আদ্-দ্বীন চক্ষুসেবা প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০৩ সাল থেকে সারাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ দুস্থ রোগীর ছানি অপারেশন ও ৪ লক্ষাধিক রোগী চোখের সমস্যাজনিত সেবা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও আদ্-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক হাসপাতাল থেকে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পের আওতায় ছয় শতাধিক রোগী ছানি অপারেশন করা হয়েছে।
আদ্-দ্বীন হাসপাতালসমূহের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আইন পেশার পাশাপাশি স্বাস্থসেবায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে সবসময় পাশে থেকে পরামর্শ দিতেন। তার মৃত্যুতে আমরা বড় অভিভাবক হারিয়েছি। আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের হাসপাতালসমূহে বিনামূল্যে সেবা দিয়ে থাকি। এবার তারই নামে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা প্রদান করছি।
আমরা মরহুম ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
তিনি বলেন, আদ্-দ্বীন সবসময় সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে আসছে। স্বল্পমূল্যে মানসম্মত সেবাদানে আমরা বদ্ধ পরিকর। মাসব্যাপী বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশ সেবা নেয়ার জন্য গরীব দুস্থদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২৪ অক্টোবর রাজধানী মগবাজার অবস্থিত আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।