Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিটিসেল বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু

গ্রাহকদের অপারেটর পরিবর্তনের আরো ৭ দিন সময় বৃদ্ধি

প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার 

দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। বন্ধের আগে অপারেটর পরিবর্তন করতে গ্রাহকদের আরও সাত দিন সময় দেয়ার কথা জানিয়েছেন এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে সিটিসেল বন্ধের বিষয়ে এক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। যদিও এর আগেই বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের কার্যক্রম যে কোনো সময় বন্ধ করে দেবেন জানিয়ে গ্রাহকদের ১৬ অগাস্টের মধ্যে বিকল্প সেবা নিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসির) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ। বিটিআরসির ওই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। সিটিসেল বন্ধের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আজ সরকারের কাছে সংশ্লিষ্ট ‘ফাইল’ পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান। বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কাছে বকেয়া পৌনে ৫শ’ কোটি টাকা তাগিদ দিয়েও না পাওয়ায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন বলে সম্প্রতি জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ। টু-জি তরঙ্গ ফি, বার্ষিক লাইসেন্স ফি, বার্ষিক তরঙ্গ ফি, রেভিনিউ শেয়ারিংসহ বিভিন্ন খাতে সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
সিটিসেলের বকেয়া রাজস্ব দেয়ার জন্য বারবার তাগাদা দেয়ার পরও তা পরিশোধ করা হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল হবে এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিটিসেলের গ্রাহকদের প্রাথমিকভাবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেয়া হয়েছে। সেই সময়টি সাতদিন পর্যন্ত বর্ধিত করা হল।’ বর্ধিত সময় বুধবার (আজ) থেকেই শুরু হবে। সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াও আজকে (গতকাল) থেকেই শুরু হবে। এ বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরই সিটিসেল বন্ধ হয়ে যাবে।’
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম বাতিলটা হল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এর আগে যেসব স্টেপ নেয়া দরকার- তাকে টাকা জমা দিতে নোটিশ, সময় দেয়া, রিপ্লাই নিয়ে জবাব দেয়া, সব প্রসেডিউর যথাযথভাবে মেইনটেইন করা হয়েছে।’
তারানা হালিম আরও বলেন, ‘বকেয়া পরিশোধ না করে কোন অপারেটর শুধু ব্যবসা করে যাবে এটি একটি নেতিবাচক প্র্যাকটিস। যেটি হওয়া উচিত নয়। আমরা এ বিষয়টায় অত্যন্ত সিরিয়াস সেভাবেই অগ্রসর হচ্ছি।’ সিটিসেল ছাড়াও অন্য অপারেটরদের রাজস্ব বকেয়া রয়েছে, সে বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিটিসেল ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটক ও বিটিসিএলের রাজস্ব বকেয়া আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য না থাকলে সরকার যে কোন সময় তা পরিশোধিত মূলধন হিসেবে গণ্য করতে পারে। এটা সরকার এসেট (সম্পদ) হিসেবেও গণ্য করতে পারে, এমনকি ঋণ হিসেবেও এডজাস্টও (সমন্বয়) করতে পারে।’
সিটিসেলের বকেয়া টাকা উদ্ধারে আরও কি উদ্যোগ নেয়া হবে- জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা এ বকেয়া তো আদায় করবই, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এটা একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক সকল অপারেটরের জন্যই। আমরা এ ধরনের বকেয়ার জন্য এ ধরনের শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।’ ‘এ বকেয়ার আদায়ের জন্য মামলা -মোকদ্দমা যা করার আমরা করব। আমরা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বকেয়া আদায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটিসেল বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ