Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কয়েক দফা নির্দেশনাসহ এ আদেশ দেন। এসব স্থাপনা সরাতে ৯০ দিন সময় দিয়ে রায় পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে স্থানীয় পত্রিকায় নোটিশ দিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদন অনুসারে, এসব স্থাপনা তিন মাসের মধ্যে অপসারণ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ কাজে জেলা প্রশাসক, পুলিশসহ বিবাদীদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। আদালতের রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম জহিরুল হক।
কর্ণফুলী নদী রক্ষায় নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার ও পরিবেশ-বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। এই রিট শুনানি নিয়ে ওই বছরেরই ১৮ জুলাই হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। নির্দেশনায় আদালত জরিপ করে নদীর তীরে থাকা অবৈধ স্থাপনার তালিকা দাখিল করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশনা অনুসারে গত বছরের ৯ জুন জেলা প্রশাসক হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন। রুলসহ এসব বিষয়ের ওপর শুনানি শেষে আদালত রায় দেন। মনজিল মোরসেদ বলেন, জেলা প্রশাসনের দেয়া প্রতিবেদনে ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনার কথা বলা হয়েছে। সেখানে নৌবাহিনীর ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি করে ছয়টি স্থাপনা রয়েছে। এগুলোকে অপসারণের আওতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই দুই কর্তৃপক্ষকে পরিবেশ অধিদপ্তরের বরাবরে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থে ও রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে টিকে থাকলে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। আরেক নির্দেশনায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের করা জরিপ প্রতিবেদনটি দুইকপি করে সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। অপসারণের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন ও জেলা প্রশাসককে দাখিল করতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ