পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের রাজপথে অবস্থান কর্মসূচিতে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে গিয়ে সড়কে অবস্থান নিলে এক ঘণ্টা পর পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের তুলে দেয়।
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা শুরু থেকে করে আসছে বাম রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো। এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবন ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আন্দোলনকারীদের দাবি। তাদের যুক্তি উপেক্ষা করে সরকার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরুর পর আন্দোলন জোরদার করেছে বাম দলগুলো।
এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার কর্মসূচির ডাকে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল কর, সুন্দরবন রক্ষা কর’ ব্যানার নিয়ে জোটের মিছিলটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে চারুকলা অনুষদের সামনে গেলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দেড়টার দিকে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করলে পরে শাহবাগে সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ করে তারা।
প্রগতিশীল জোটের নেতারা জানিয়েছেন, পুলিশের লাঠির আঘাতে তাদের ছয়জন আহত হয়েছেন, তার মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের লাঠিপেটায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অর্থ সম্পাদক গোবিন্দ দাস, নগর শাখার সদস্য অরূপ দাস শ্যাম, প্রগতি বর্মণ তমা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মশিউর রহমান ও হুসাইন আবেদিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির আহত হন বলে জোট নেতারা জানান। এদের মধ্যে গোবিন্দকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন মাহমুদ বলেন, আমরা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ অবস্থান নিলে পুলিশ মারধর শুরু করে। এতে ছয়জন আহত হন। এদিকে জোটের সমন্বয়ক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান। তিনি বলেন, এই উন্নয়ন দেশের স্বার্থ নয়। এটি বাস্তবায়ন হলে ওই এলাকার ৫ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা ধ্বংস হবে। সবকিছু জেনেও সরকার এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে যাচ্ছে। ছাত্রসমাজ বুক পেতে দেবে, তবুও এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে দেবে না।
শাহবাগ থানার ওসি আবুবকর সিদ্দিক বলেন, শাহবাগের আশেপাশে হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকায় আমরা তাদের নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি করে শাহবাগের মোড়ে অবস্থান নেয়। তখন যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।